ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

জাতিসংঘের প্রতিবেদন সংরক্ষিত রাখতে হবে: এ্যানি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫
জাতিসংঘের প্রতিবেদন সংরক্ষিত রাখতে হবে: এ্যানি শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি

লক্ষ্মীপুর: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ক্ষমতাকে পার্মানেন্ট করার জন্য হাসিনা একের পর এক খুন করেছে, গুম করেছে। তার এই গুম, খুন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ যে প্রতিবেদন দিয়েছে এটা একটা দালিলিক প্রমাণ।

এ প্রতিবেদনটা ঐতিহাসিক। এই দলিল সংরক্ষিত রাখতে হবে। এটা বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব।  

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুরে লাহারকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

এ্যানি তার বক্তব্যে পাঠ্যপুস্তকে জাতিসংঘের দলিল লিপিবদ্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, এ সরকারের কাছে আমি অনুরোধ করবো, ভবিষ্যত প্রজন্মদের জানার জন্য পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে এ দলিল লিপিবদ্ধ করতে হবে, এটা প্রয়োজন। এটাই ঐতিহাসিক এবং এটা গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে জাতির সামনে প্রমাণ হিসেবে থেকে যাবে। এই সরকারের কাছে আমরা এটা প্রত্যাশা করি। আমাদের দাবি যদি এ সরকার পূরণ না করে- তাহলে ইনশাআল্লাহ এদেশে তো একটা নির্বাচন হবে। আমরা আশা ও প্রত্যাশা করতেছি খুব শিগগিরই এদেশে একটা স্বাভাবিক সুন্দর নির্বাচন হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল এই সরকারের নেতৃত্ব দেবে ইনশাআল্লাহ। জাতিসংঘের যে প্রতিবেদন যে ঐতিহাসিক দলিল, এটা আগামী দিনের পাঠ্যপুস্তকে রাখার ব্যবস্থা করবো।  

পাঠ্য বইয়ের মধ্যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জিয়াউর রহমানকে ছোট করা হয়েছে জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা দেখেছি গত ১৫-১৬ বছর স্কুলের অ্যাসেম্বলিতে গভর্নিং বডিকে চিঠি দিয়ে নির্দেশ দিয়েছে যে, বাচ্চাদের জয় বাংলা শেখাতে হবে, শপথ নিতে হবে।
  
এ্যানি আরও বলেন, বর্তমান প্রজন্ম যে দেশপ্রেম জাগ্রত করেছে, তা অনুভব করার মতো। এটি আমাদের অনুপ্রানিত করে। বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করার পরও তারা পিছপা হয়নি। হেলিকপ্টার থেকে টার্গেট করে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও অভিভাবকরা ছিল। দেশের সাধারণ মানুষের গণআন্দোলনকে নস্যাৎ করে দেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়ে ছাত্র-জনতাকে খুন করা হয়েছে।  
 
এ্যানি বলেন, জুলাই আন্দোলন ছাড়াও এর আগে অত্যাচার-নির্যাতন ও মামলা-হামলা চালিয়ে আমাদের জিম্মি করে রাখা হয়েছে। খুন-গুম করেছে। কিন্তু শেষ পরিণতি, হাসিনা পার্মানেন্ট হতে পারেননি। পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। সম্প্রতি জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়ে দেশের ছাত্রজনতাকে হত্যা করেছে। বাংলাদেশ সরকারের প্রতি জাতিসংঘ অনুরোধ করেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছে। জাতিসংঘ হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়েছেন। এটি দেশের জন্য এ মুহুর্তে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও হাসিনা আমাদের দেশকে ধ্বংস করার জন্য এমন কিছু বাকি নেই যা তিনি করেননি। কারণ তার কাছে ক্ষমতাই বড় ছিল। ক্ষমতাকে পার্মানেন্ট করার জন্য তিনি একের পর এক হত্যা-গুম ও খুন করেছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মুরাদ হোসেনের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান চৌধুরী মিন্টু, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান লিটন ও বিদ্যালয়ের আজীবন সদস্য আলমগীর হোসেন রাজু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।