ঢাকা: সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে আমরা সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবো বলে উল্লেখ করেছেন সড়ক পরিবহন, সেতু মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিনদিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে অধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু আমাকে খুব ব্যথিত করে। আমি ডিসিদের নির্দেশ দিয়েছি, এটাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে তারা যেখানে যে সাহায্য চাইবে, সাইন বসানো, স্পিড ব্রেকার বসানো, রাস্তার এলাইনমেন্ট পরিবর্তন করা, তারা জানালে আমরা সীমিত সামর্থের মধ্যে ব্যবস্থা নেবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে একটি প্রকল্প নিয়ে আলাপ করছি৷ সে প্রকল্পের আওতায় আমরা দুর্ঘটনায় আহতদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করা, বিভিন্ন ট্রমা সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা এবং পুলিশকে আরও কার্যকর করার জন্য যানবাহন দিয়ে সহায়তা করার ব্যবস্থা নেবো।
সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, থ্রি-হুইলারগুলো প্রধান সড়কে চলবে না। কিন্তু অন্য সড়কে চলবে। এর জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় একটি নীতিমালা প্রণয়ন করছে৷ এ নীতিমালার অধীনে তারা কাজ করবে৷
মিটারে সিএনজি চলাচলে ডিএমপিকে দেওয়া চিঠি প্রত্যাহারের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চিঠি প্রত্যাহার করার কয়েকটি কারণ আছে৷ এখানে যাত্রীর একটি বক্তব্য আছে, মিটারে যাচ্ছে না৷ আবার চালকদের একটি বক্তব্য আছে, যে তারা মিটারে যাত্রী পরিবহন করতে পারবেন না। কারণ, তাদের জমার পরিমাণ বেশি, তাদের এখানে, সেখানে ঘুষ দিতে হয়৷ এছাড়া এখন পুরাতন সিএনজি পেতে ২০-৩০ লাখ টাকা লাগে। আমরা আপাতত মিটারে সিএনজি চলাচলের বিষয়টি স্থগিত করেছি। আমরা বিষয়গুলো পরীক্ষা, পর্যালোচনা করে নিয়ম-নীতি করবো, যাতে সেটি সবার কাছে সমান ও গ্রহণযোগ্য হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫
এসসি/আরকেআর