ঢাকা, বুধবার, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

যাত্রাবাড়ীতে অটোরিকশাচালক হত্যায় পিচ্চি রনি গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫
যাত্রাবাড়ীতে অটোরিকশাচালক হত্যায় পিচ্চি রনি গ্রেপ্তার

ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে অটোরিকশাচালক জসিম মোল্লা হত্যার ঘটনায়  রনি ওরফে বেলবাটি রনি ওরফে পিচ্চি রনি (৩৭) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি জানান, সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে গেন্ডারিয়া থানাধীন ঘুন্টিঘর এলাকায় অভিযান চালিয়ে রনিকে গ্রেপ্তার করে গেন্ডারিয়া ও যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।

যাত্রাবাড়ী থানা সূত্রে জানা যায়, যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা অটোরিকশাচালক জসিম মোল্লা (৪২) ৬ জনুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তার বড় ছেলে বিল্লালকে নিয়ে নিজ বাসা থেকে দয়াগঞ্জের উদ্দেশে বের হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিল্লাল বাসায় ফিরলেও তার বাবা জসিম ফিরেননি। এ সময় বিল্লাল তার মা শিল্পীকে (৩৮) জানায় জসিম দয়াগঞ্জ রেললাইনের পাশে কিছু লোকজনের সাথে কথা বলছিল। পরবর্তীতে জসিমের স্ত্রী শিল্পী রাতে কয়েকবার তার স্বামীর সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে ৭ জানুয়ারি রাত অনুমান আড়াইটার দিকে যাত্রাবাড়ীর মীরহাজিরবাগ তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা রোডের ইঞ্জিনিয়ার গলির মাথায় পাঁকা রাস্তার ওপর জসিমের মরদেহ পাওয়া যায়। এ সময় জসিম মোল্লার মাথায়, পিঠে, বাম হাতের কব্জি, বাম পায়ের গোড়ালি ও ডান পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর গুরুতর আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। একই সাথে তার এক হাত এবং এক পায়ের রগ কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়।

এই ঘটনায় মৃত জসিম মোল্লার স্ত্রী শিল্পী ১৩ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা করেন।

মামলাটির তদন্তকালে প্রাপ্ত তথ্য ও সাক্ষ্যে জসিম হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত রনির জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্য এবং প্রযুক্তির সহায়তায় রনির অবস্থান শনাক্ত করে গেন্ডারিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

থানা সূত্র আরো জানায়, গ্রেপ্তারকৃত পিচ্চি রনি অটোরিকশাচালক জসিম হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রনির ভাষ্যমতে, চাচাতো ভাই হানিফের সাথে জসিমের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার দিন হানিফ জসিমকে দেখা করতে বললে জসিম তার বাসা থেকে রওনা দেয়। অপরদিকে হানিফ, পিচ্চি রনিসহ ছয়জন মীরহাজিরবাগ ইঞ্জিনিয়ার গলিতে জসিমের আসার অপেক্ষায় থাকে। জসিম ওই এলাকায় এলে হানিফের সাথে তার বাগবিতণ্ডা শুরু হয় এবং একপর্যায়ে হানিফ জসিমকে মারধর শুরু করে। পরবর্তীতে পিচ্চি রনিসহ অন্যান্য সহযোগীরাও জসিমকে মারধর ও কোপাতে শুরু করে। এ সময় তারা জসিমের হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। এরপর পিচ্চি রনি, হানিফসহ অন্যরা জসিমকে আহত অবস্থায় রেখে চলে যায়।

পুলিশ আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃত পিচ্চি রনির বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে ১০টির বেশি মামলা রয়েছে। জসিম হত্যার ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫
এসসি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।