ঢাকা: সরকারি অফিসে ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক’ বরদাস্ত করবো না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ৩ দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় দিনে ষষ্ঠ কার্য-অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, মধুপুর শালবনের সীমানা নির্ধারণ করে, শালবন ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করে দিতে চাই। কক্সবাজারের সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ৫১ একর আবাসন প্রকল্প, আজকে বলা হয়েছে, হাওর, বন, দ্বীপ এবং জাফলংয়ের পাথরবাহী নদীগুলোতে আমরা মাস্টারপ্ল্যান করে ইকো ট্যুরিজম প্রমোট করবো।
বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব কাজেই অভিযোগের শেষ নেই। আমি নিজেও এক সময় সমালোচনা করতাম। এখন সেই অভিযোগগুলো নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। আমরা একটা কমিটি করে দিয়েছি, প্রত্যেক জেলায় জেলা প্রশাসক, একজন শিক্ষার্থী, একজন এলাকাবাসী থাকবে। তারা এটা মনিটরিং করবে। এটা যেন তারা নিয়মিত করে।
প্লাস্টিকের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো সরকারি অফিসে যেন ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক’ আর না দেখি। এখনো সরকারি অফিসে, গাড়িতে ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক’ থাকে। প্লাস্টিকের ফোল্ডার থাকে। আমরা বলেছি, এটা কোনোভাবেই বরদাস্ত করবো না। সরকারি অফিস ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক’ মুক্ত হবে।
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বিষয়ে তিনি বলেন, তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনাইতো নেই, কোথা থেকে বাস্তবায়ন করবো। পরিকল্পনাতো করতে হবে। পরিকল্পনা একটা গ্রুপ জমা দিয়েছে। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সেই ২০১৬ সালে যে পরিকল্পনা দিয়েছিল, আমরা সেটা দুই বছরের জন্য ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এক্সটেনশন করলাম। এই মহা পরিকল্পনায় কি থাকবে কি থাকবে না, তিস্তা এলাকার মানুষের মতামত শুনে করতে হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন নির্দলীয় ব্যবস্থাপনায় হবে। তাই এবার ডিসিদের দলীয় তকমা থাকার কারণ ও সুযোগ নেই। যদি কোনো ডিসির বিষয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের আপত্তি থাকে, আমাদের জানাকে, যৌক্তিক কারণ থাকলে আমরা বিবেচনায় নেবো। এবার ডিসিরা নির্ভয়ে তাদের কাজ করে যেতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫
আরকেআর/এএটি