ঢাকা, সোমবার, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বাঞ্ছারামপুরে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৭৬তম সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫
বাঞ্ছারামপুরে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৭৬তম সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বৃহত্তর শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের পল্লি ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের অধীনে ৭৬তম সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।  

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা অডিটোরিয়ামে এ ঋণ বিতরণ করা হয়।

বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের পল্লি ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের অধীনে ৭৬তম সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ২৪৯ জন উপকার ভোগীর মাঝে ৪১ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।  

বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম নাসিমুল হাই এফসিএস।  

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মাইমূন কবির, বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, স্থানীয় সাংবাদিক গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু, মো. চাঁন মিয়া সরকার, আতাউর রহমান সনেট, রফিকুল ইসলাম, ফয়সাল আহমেদ, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মো. মোশাররফ হোসেন, সিনিয়র অফিসার আমির হোসেন আনোয়ার, জুনিয়র অফিসার শাহজাহান, মোহাম্মদ বাছির প্রমুখ।

উপকারভোগী বাঞ্ছারামপুর সদর ইউনিয়নের ভবনাথপুর গ্রামের রানু আক্তার বলেন, 'আগে আমাদের সংসার কোনোমতে চলতো। বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন থেকে ঋণ নিয়ে আমি ছাগল পালন করি। প্রথম তিন মাস কিস্তি দিতে হয় না। তিন মাস পর তিন শত টাকা করে প্রতি সপ্তাহে কিস্তি দিতে গায়ে লাগে না। আগে অনেক দুঃখে কষ্টে চলতে হইতো। এখন ছাগল পালন করে সুন্দরভাবে সংসার চলছে। তাই বসুন্ধরার মালিকের জন্য দোয়া করছি আল্লাহ পাক যেন দীর্ঘদিন তাকে বাঁচিয়ে রাখেন। ’

একই গ্রামের গৃহবধূ শিল্পী আক্তার বলেন, বসুন্ধরার কাছ থাইক্যা টেহা ঋণ নিয়া আমার স্বামীরে লইয়া কৃষিকাজ কইরা অনেক লাভবান হইছি। এখন খাওয়া দাওয়ার কোনো সমস্যা নাই। আল্লাহর কাছে দোয়া করি বসুন্ধরা গ্রুপ যেন ভালো থাকে।

বাঞ্ছারামপুর পৌর এলাকার দশদোনা গ্রামের নয়নতারা বলেন, আমার স্বামী নাই। প্রথমে টেহা নিয়া সেলাই মেশিন কিনছি। মানুষের কাপড় সেলাইও করছি, আবার কাপড়ও বিক্রি করছি। এরপরে গরু কিনছি। আল্লাহর রহমতে ছেলে-মেয়ে নিয়া এখন অনেক ভালো আছি। বসুন্ধরা গ্রুপ টেহা দেওনে এরকম জোর পাইছি।

ঋণ বিতরণের আগে ময়নাল হোসেন চৌধুরী বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ শুধুমাত্র নারীদের মাঝে এই ঋণ বিতরণ করে। যা দিয়ে হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল এবং শাক-সবজি চাষসহ ৩২ প্রকার কাজে নারীরা এই ঋণের টাকা বিনিয়োগ করে খুবই উপকার পাচ্ছেন । এই ঋণের পরিধি প্রথম দিকে শুধু বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে তা পার্শ্ববর্তী উপজেলা হোমনা ও নবীনগরে বিস্তার লাভ করেছে।  

বসুন্ধরা গ্রুপ সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ঋণ বিতরণসহ গরিব অসহায় লোকদের মাঝে ওষুধসহ স্বাস্থ্যসেবা ফ্রি দিয়ে থাকে। গরিব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে মাসিক উপবৃত্তি দিচ্ছে। যাতে অর্থের অভাবে কোনো শিক্ষার্থী ঝড়ে না যায় এবং উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে পারে। গরিব মেয়েদের মাঝে প্রশিক্ষণসহ সেলাই মেশিন বিতরণ করে। বসুন্ধরা গ্রুপ এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যাতে করে তৃণমূল মানুষকে সামনে এগিয়ে নিয়ে আসতে পারে। বসুন্ধরা গ্রুপ চাচ্ছে গ্রামের অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষগুলোর অর্থনীতির চিত্র পাল্টিয়ে দিতে। ’ 

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫
আরএ        

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।