ঢাকা, বুধবার, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ১২ মার্চ ২০২৫, ১১ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

কুমেক হাসপাতালের ৫তলার বারান্দা থেকে পড়ে রোগীর মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২৫
কুমেক হাসপাতালের ৫তলার বারান্দা থেকে পড়ে রোগীর মৃত্যু বারান্দা থেকে পড়ে নিহত বাবাকে ধরে ছেলের আহাজারি

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের পাঁচতলা থেকে পড়ে গণি মিয়া নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (৭ মার্চ) রাত ১১টা ৫০মিনিটে হাসপাতালটির সার্জারি বিভাগের পাঁচতলার বারান্দার পাশে থাকা খোলা জানালা দিয়ে নিচে পড়ে যান তিনি।

ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ৪৭ বছর বয়সী ওসমান গণি কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার বালুতুপা-দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা।  

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম।

ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। স্বজনরা নিহতের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান। হাতের চিকিৎসার জন্য গত ৩ মার্চ তিনি কুমেক হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।  

নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, অরক্ষিত জানালার পাশে গণি মিয়াকে যে বেড দেওয়া হয়, সেখান থেকে তিনি পড়ে যান। রোববার রাতে হঠাৎ তারা একটি বিকট শব্দ শোনেন। পর নিচে গিয়ে দেখেন গণি মিয়ার মরদেহ পড়ে রয়েছে। এদিকে ওয়ার্ড মাস্টার বিল্লাল হোসেন বারান্দার পাশের বেডটি সরিয়ে নেন।

নিহত গণি মিয়ার বড় ছেলে রানা জানান, গত ৩ মার্চ তার বাবা হাতে ব্যথা নিয়ে কুমেক হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রায় সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। আর দিন দুয়েক পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতেন। কিন্তু তার আর ফেরা হলো না। শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে গ্রামের বাড়ি জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার কনেশতলা এলাকায় তার জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।

গণি মিয়ার স্ত্রী কোহিনুর বেগম জানান, শুক্রবার রাতে ভাত খাওয়ানোর পর তার স্বামী বলছিলেন শরীরটা ভালো লাগছে না। পরে এপাশ ওপাশ করতে করতে বিছানা থেকে পড়ে যান তিনি। বারান্দার পাশে যেখানে বেড ছিল, সেখানে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না।  

এ বিষয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের উপ-পরিচালক ডা. শাহজাহান বলেন, রমজান মাসে রোগীর সংখ্যা একটু কম। কক্ষের ভেতর বেড ছিল। চাইলে তিনি (গণি মিয়া) সেখানে চিকিৎসা নিতে পারতেন। শুক্রবার রাতে বারান্দা সংলগ্ন যে বেডে ছিলেন, সেখানে তিনি নিজের ইচ্ছায় ছিলেন। তিনি হাতে ব্যথা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তার চিকিৎসাসেবা ভালোই চলছিল। রাতে তিনি বেড থেকে পড়ে মারা যান। এটা অবশ্যই দুর্ঘটনা হিসেবে দেখছি। পাশাপাশি বারান্দা থেকে বেডগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন এমন দুর্ঘটনা আর না ঘটে, সেজন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সতর্ক থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২৫
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।