রাজশাহী: ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি এবং মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ তুলে সুবিচারের দাবিতে আজ রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন রাজশাহীর এক নারী ও তার মেয়ে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে দাঁড়িয়ে ছিলেন তানোর উপজেলার নবনবী গ্রামের বাসিন্দা রোজিফা খাতুন ও তার মেয়ে বকুল খাতুন।
মঙ্গলবার একটি ব্যানার হাতে নিয়ে তারা সাহেববাজারে এসে দাঁড়ান। ওই ব্যানারে লেখা ছিল, ‘বাঁচতে চাই, নিরাপত্তা চাই, অন্যায়ের বিচার চাই, ধর্ষণের হুমকির বিচার চাই। ’
তাদের অভিযোগ, সোমবার (১৭ মার্চ) রাজশাহীর আদালত চত্বর থেকে বকুল খাতুনকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে জহিরুল ইসলাম জহির নামে এক ব্যবসায়ী। জহিরের সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে তাদের। এর জের ধরে সম্প্রতি তানোরে রোজিফার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।
বকুল জানান, দেবোত্তর সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের গ্রামের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে মামলা করা হয়। কিন্তু মামলার পর জামিন পেয়ে যান জহির নামের ওই ব্যবসায়ী। জামিনের পর তিনি প্রতিনিয়ত হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। অথচ উল্টো হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা করেছেন জহিরের স্ত্রী তারিনা সুলতানা।
বকুল খাতুনের অভিযোগ, এই মামলায় সোমবার আদালতে হাজির হলে আদালত চত্বর থেকে তাকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন জহির। এ সময় লোকজন এগিয়ে এলে কোনোরকমে রক্ষা পান তিনি। এই ঘটনার পর থেকে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা মা ও মেয়ে। তারা এখন নিরাপত্তা চান।
এমন অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে জহির এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘তাদের নামে কে মামলা করেছে তা তিনি জানেন না। তিনি কোনো মামলা করেননি। আর আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগও মিথ্যা। '
জহিরুল ইসলাম বলেন, এসব মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে উল্টো তারাই আমাদের জমি দখল করেছে। আমরাই তো এর প্রতিকার পাচ্ছি না।
এদিকে মা-মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকির বিষয়ে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, এ রকম হুমকির কোনো ঘটনা তার জানা নেই। তবে এমন কোনো অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৫
এসএস/এএটি