বাগেরহাট: ভোলা নদীতে ভাটা থাকায় সুন্দরবনে নতুন করে আগুন লাগা তেইশের ছিলা-শাপলার বিল এলাকায় পানি ছেটানো শুরু করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। রোববার (২৩ মার্চ) রাত ৯টা পর্যন্ত পানি ছেটানো যায়নি বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, খুলনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আবু বক্কর জামান।
তিনি বলেন, এবার যেখানে আগুন লেগেছে, সেখান থেকে পানির উৎস অনেক দূরে। আমরা ৩ কিলোমিটার সরবরাহ পাইপ স্থাপন করেছি। ভাটার সময় ভোলা নদীর পানি একেবারে শুকিয়ে যায়, যার ফলে পানি ছেটানো শুরু করা যায়নি।
এদিকে রাত সাড়ে ৮টার পর সুন্দরবনের নতুন করে লাগা আগুনের এলাকায় পানি ছিটানো শুরু হয়েছে বলে দাবি করেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম। তিনি বলেন, রাত থেকেই আগুন লাগা এলাকায় পানি দেওয়া শুরু হয়েছে। বন বিভাগ গতকালও সারা রাত কাজ করে আগের স্থানের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আজও কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিস এবং বন বিভাগের সেচ্ছাসেবকরাও আছেন। পানি দেওয়া শুরু করা গেলেও এখানে চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি। ভাটার সময় নদীতে পানি থাকে না। এলাকাটাও বেশ দুর্গম। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
এদিন সকালে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের ধানসাগর টহল ফাঁড়ির তেইশের ছিলায় আগুন লাগার বিষয়টি ড্রোন ক্যামেরায় দেখতে পায় বন বিভাগ। দুপুর থেকে বন বিভাগ ও স্বেচ্ছাসেবকরা ফায়ার লাইন কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
কলমতেজীর চেয়ে (তেইশের ছিলার) আগুনের ব্যাপকতা একটু বেশি দাবি করে ধানসাগর স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) বিপুলেশ্বর দেবনাথ বলেন, এবারের আগুনের ব্যাপকতা কলমতেজীর থেকে বেশি। চারপাশেই ফায়ার লাইন কাটা হয়েছে।
শনিবার সকালে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজী টহল ফাঁড়ির টেপার বিলে আগুন লাগে। ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে না আসতে আজ রোববার সকালে পাশের তেইশের ছিলা এলাকায় আগুন দেখা যায়। পরপর দুই দিনে পৃথক দুটি এলাকায় অগ্নিকাণ্ড মিলিয়ে নিয়ে গেল ২৩ বছরে সুন্দরবনে ২৮ বার লাগার ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৫
এসএএইচ