শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে মুক্তা বেগম (৫৪) নামে এক নারীকে গলাকেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় ওই নারীর |শরীরে থাকা প্রায় আড়াই ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায় তারা।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের বারই জঙ্গল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মুক্তা বেগম ওই গ্রামের মান্নান গাজীর স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের বারই জঙ্গল গ্রামের মান্নান ব্যাপারী দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় ছিলেন। প্রায় দুই বছর হলো তিনি ফিরে এসেছেন। তার ছেলে মালয়েশিয়া ও মেয়ে ঢাকায় থাকেন।
মঙ্গলবার রাতে মান্নান গাজী তারাবি নামাজ পড়া শেষে রাত সাড়ে ৯টা দিকে বাড়ি দেখেন বিছানায় তার স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ। এসময় তার চিৎকারে আশপাশের মানুষ ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং মরদেহ উদ্ধার করে।
পরে বুধবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
এদিকে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে নিহতদের স্বামী মান্নান গাজী বলেন, এশার নামাজের আজান দিলে আমি বাড়ির গেট বন্ধ করে নামাজ পড়তে যাই। নামাজ শেষে এসে দেখি গেট ভেতর থেকে আটকানো। পরে গেট খুলে ঘরে ঢুকে দেখি খাটের ওপর আমার স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ পড়ে আছে। হত্যাকারীরা আমার স্ত্রীর কান ছিঁড়ে দুল ও গলায় থাকার স্বর্ণের চেইনসহ স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে। আমি আমার স্ত্রী হত্যার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ড. আশিক মাহমুদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিন/চারজনের এক দল ডাকাত এ ঘটনা ঘটাতে পারে। তবে, কেউ আক্রোশমূলক বা অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তিও নির্মমভাবে এমন এ ঘটনা ঘটাতে পারে। তবে, এই পরিবারের সঙ্গে কারো শত্রুতা নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পুলিশ তদন্ত উদঘাটন ও দোষীদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২৫
আরএ