ঢাকা, রবিবার, ১৬ চৈত্র ১৪৩১, ৩০ মার্চ ২০২৫, ২৯ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

২৬ মার্চ গৌরব ও অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস: সেনাবাহিনী প্রধান

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৫
২৬ মার্চ গৌরব ও অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস: সেনাবাহিনী প্রধান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান

ঢাকা: জাতীয় জীবনে ২৬ মার্চ গৌরব ও অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। গতকাল মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

সেনাপ্রধান বলেন, ‘আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। আমাদের জাতীয় জীবনে দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।

১৯৭১ সালের এই দিনে এ দেশের মুক্তিকামী আপামর জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশমাতৃকাকে পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্ত করার লক্ষ্যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ’ তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের চূড়ান্ত বিজয় এবং বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ। এ কারণেই ২৬ মার্চ আমাদের জাতীয় জীবনে গৌরব ও অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে। ’

মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের এই মাহেন্দ্রক্ষণে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, সেসব বীর শহীদকে, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। ’ জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখার নিমিত্তে সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের জন্য সদা প্রস্তুত। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মতো সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমন ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন, ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আর্তমানবতার সেবা প্রদান এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শান্তিরক্ষাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে আত্মনিয়োগের মাধ্যমে অনন্য ভূমিকা রেখে আসছে। ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে বলে আমি প্রত্যাশা করি। ’ ‘স্বাধীনতার পরে সময়ের পরিক্রমায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ একটি দক্ষ, সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত বাহিনীরূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। দেশমাতৃকার প্রয়োজনে যে কোনো অর্পিত দায়িত্ব পালনে সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন ও সমর সক্ষমতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ’ যোগ করেন সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে এবং পর্যায়ক্রমে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র সংযোজন এবং উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন বাস্তবায়িত হচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমাদের সেনাবাহিনী এখন সুপ্রশিক্ষিত, দক্ষ এবং সদা প্রস্তুত। ’ 

বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৫
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।