মাদারীপুর: ঈদের ছুটি শুরু হলে গত বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকেই ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবহনের চাপ বাড়তে শুরু করে।
তবে রোববার (৩০ মার্চ) সকাল থেকেই পদ্মা সেতুতে যানবাহনের চাপ কিছুটা কম রয়েছে বলে জানা গেছে।
যাত্রীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার পরিবহনে স্বস্তির সঙ্গেই ঘরে ফিরতে পারছেন যাত্রীরা। এছাড়াও ঢাকা থেকে বাসের পাশাপাশি ট্রেনেও বাড়ি ফিরছেন দক্ষিণের যাত্রীরা। তবে বাসে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ভাড়ার পরিমাণ বেশি বলে অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, ফিরতি পথে (ঢাকাগামী) যাত্রীশূন্য আসতে হয় বিধায় ভাড়া একটু বেশি। তবে তা সহনীয় পর্যায়েই রয়েছে।
ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে ঘুরে দেখা গেছে, দূরপাল্লার যাত্রীদের ভোগান্তি না হলেও ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু পার হয়ে নাওডোবা, শিবচর, পাঁচ্চর, ভাঙ্গা পর্যন্ত বিভিন্ন স্টপেজে নামা যাত্রীদের ভোগান্তি রয়েছে। যাত্রীরা জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে পথের যাত্রীদের ভাঙ্গা পর্যন্ত যাত্রীর ভাড়া গুনতে হচ্ছে। শিবচরে ২শ টাকার ভাড়া ৪শ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। ফলে যাত্রীদের সঙ্গে লেগে যাচ্ছে বাক-বিতণ্ডাও।
শিবচর হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপ রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই মূল চাপ শুরু হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে টহল অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে হাইওয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন।
ঢাকা থেকে আসা যাত্রী মো. রিফাত বলেন, রাস্তায় তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। আজ গাড়ির চাপ একটু কম মনে হলো। তবে ভাড়ার পরিমাণ বেশি।
ঢাকা থেকে শিবচরে আসা যাত্রী রোকেয়া আক্তার বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর দূরপাল্লার যাত্রীদের শান্তি হলেও আমরা দুর্ভোগ মাথায় নিয়েই বাড়ি ফিরি। পথে পথে গাড়ি থামানো, দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া, ঈদে দ্বিগুণ ভাড়া আদায়। এরকমই হচ্ছে।
শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম জানান, ঈদে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে আমরা মহাসড়কে সতর্ক অবস্থায় রয়েছি। বাড়তি টহলও রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৫
আরএ