ঢাকা: রাত পোহালেই শুরু হবে ঈদের আনন্দ। ঈদ আসলেই বিনোদন কেন্দ্রে ভিড় বাড়তে শুরু করে দর্শনার্থীদের।
রোববার (৩০ মার্চ) বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার।
কর্তৃপক্ষ জানায়, শাপলা ও পদ্মা ব্যাঘ্রশাবকসহ জাতীয় চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা এখন ১৩টি। সিংহ রয়েছে পাঁচটি। চিড়িয়াখানায় জিরাফ রয়েছে সাতটি। হাতি আছে পাঁচটি। রয়েছে একটি আফ্রিকান গন্ডার। জাতীয় চিড়িয়াখানায় সর্বমোট ১৩৬ প্রজাতির তিন হাজার ৩শ ২০টি পশুপাখি রয়েছে।
চিড়িয়াখানার পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, বাঘের দুটি শাবক ছাড়া জেব্রার তিনটি শাবক আছে। বাঘের শাবক দুটি বয়স ১১ মাস। জেব্রার তিনটি শাবকের মধ্যে একটির বয়স দুই মাস, দ্বিতীয়টির বয়স ছয় মাস ও তৃতীয়টির বয়স আট মাস। ঈদে চিড়িয়াখানায় এলে বাঘ ও জেব্রার বাচ্চা নতুন দেখতে পাবেন।
জাতীয় চিড়িয়াখানায় এলে দর্শনার্থীরা দেখতে পাবেন তিন হাজার ৩২০ প্রজাতির প্রাণী ও পাখি।
চিড়িয়াখানার নিরাপত্তার বিষয়ে জানাতে চাইলে পরিচালক রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে একটি সমন্বয় সভা করেছি। এবার ঈদে লম্বা ছুটি। ফলে এবার অনেক মানুষ চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসতে পারে। এ কারণে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়তে পারে। আশা করছি, ঈদের দ্বিতীয় দিনে দর্শনার্থীদের চাপ বাড়বে। এক দিনে এক লাখেরও বেশি দর্শনার্থী আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আমরা একটু শঙ্কিত, হঠাত করে গরম পড়ে গেছে। গরম যদি আরো বাড়ে তাহলে দর্শনার্থী সমাগমে প্রভাব পড়বে।
তিনি আরও বলেন, মূল ফটকে যাতে ভোগান্তি তৈরি না হয়, সে বিষয়েও নজর রেখেছি। প্রবেশপথে আমরা ১৫টি লাইনের ব্যবস্থা করেছি। চিড়িয়াখানায় ব্যাপক জনসমাগম হওয়ায় চিড়িয়াখানা এলাকায় বেশ যানজট দেখা দেয়। এ বিষয়েও নজর দেওয়া হচ্ছে। চিড়িয়াখানার ভেতর এই ঈদে খাবার বিক্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা একটি বাড়ানো হয়েছে। এখন পাঁচটি খাবারের দোকান। এ ছাড়াও দর্শনার্থীদের জন্য এপ্রিল মাস থেকে সকাল নয়টা থেকে বিকেল ছয়টা পর্যন্ত খোলা থাকবে চিড়িয়াখানা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৫
এমএমআই/এএটি