খুলনা: খুলনায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায় খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে। এছাড়া সকাল সাড়ে ৮টায় খুলনা আলিয়া মাদরাসা সংলগ্ন মডেল মসজিদে এবং সকাল ৯টা খুলনা টাউন জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া খুলনা সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত বায়তুন নূর জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন মসজিদের খতিব হাফেজ মো. ইমরান উল্লাহ এবং সকাল ৯টা অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. জাকির হুসাইন।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ও ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে পৃথক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে সকাল ৮টায় প্রথম জামাত, ৯টায় দ্বিতীয় এবং সকাল ১০টায় তৃতীয় জামাত খুলনা টাউন জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. ফিরোজ সরকার রোববার (৩০ মার্চ) দুপুরে সার্কিট হাউজ মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত আয়োজনের প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে বিভাগীয় কমিশনার ও কেসিসি’র প্রশাসক গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, নগরবাসী যাতে সুষ্ঠুভাবে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতে নামাজ আদায় করতে পারে সেজন্য সার্কিট হাউজ মাঠ প্রস্তুতের কাজ ইতোমধ্যে প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। ঈদ জামাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১২টি মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। নগরবাসী স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপত্তার সঙ্গে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ এবং পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে পারবে বলে আশা করা যায়। সে লক্ষ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশন ও কেএমপি’র পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে কেসিসি’র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সহায়তায় পৃথকভাবে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ঈদ জামাতের আয়োজন করা হচ্ছে।
পরে সার্কিট হাউজ মাঠে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সার্বিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়াবলি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফ করেন কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন ও ফিন্যান্স) আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ।
পরিদর্শনকালে খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিতান কুমার মণ্ডল, কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মশিউজ্জামান খান, সিনিয়র সাংবাদিক শেখ দিদারুল আলম, জেলা প্রশাসন, কেএমপি, কেসিসি’র কর্মকর্তাসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে প্রথমবারের মতো পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ৮টায় একটিমাত্র জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জামাত শেষে বৃহত্তর মুসলিম উম্মাহ, দেশ ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হবে। জামাতে শরিক হওয়ার জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী, পার্শ্ববর্তী এলাকার বিভিন্ন মসজিদের মুহতারাম ইমাম ও খতিবসহ খুলনাবাসীকে আমন্ত্রণ জানানো যাচ্ছে।
ঈদ জামাতে শরিক হওয়া মুসল্লিদের নির্দিষ্ট স্থানে গাড়ি/যানবাহন পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা থাকবে। মুসল্লিদের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের খানজাহান আলী হল ও খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ হলের প্রবেশদ্বার ঈদের দিন খোলা থাকবে। ওজু এবং ইস্তেঞ্জার জন্য কেন্দ্রীয় মসজিদের ওজুখানা ও ওয়াশরুম ব্যবহার করা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৫
এমআরএম/এসএএইচ