পটুয়াখালী: ১৪ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে বঙ্গোপসাগরে শুরু হচ্ছে মাছ ধরায় ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা। আগামী ১১ জুন পর্যন্ত চলবে এ নিষেধাজ্ঞা, যা বিগত বছরের ৬৫ দিনের তুলনায় কম।
ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও সংরক্ষণে ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকতো। তবে এবার জেলেদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সময়সীমা পুনর্বিন্যাস করেছে সরকার।
কলাপাড়ার ট্রলার মাঝি মো. সোলায়মান বলেন, এবার সময়টা একটু আগে শুরু হয়েছে। তবে ভারতের সঙ্গে সমন্বয় রেখে করায় এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক। আমরা চাই সরকার যেন শুরুতেই প্রণোদনা দেয় এবং পরিমাণটাও বাড়ায়।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, সরকারের এ উদ্যোগ শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয়, উপকূলীয় অঞ্চলের সামুদ্রিক সম্পদের সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক প্রদীপ কুমার সরকার বলেন, নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য দুটি— মাছকে নির্বিঘ্নে ডিম ছাড়তে দেওয়া এবং ছোট মাছ বড় হওয়ার সুযোগ তৈরি করা। ফলে এবার বড় আকারের ইলিশ জালে ধরা পড়বে বলে আমরা আশাবাদী।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য অফিস জানায়, জেলার নিবন্ধিত জেলে ৮১ হাজারের বেশি হলেও সমুদ্রে মাছ ধরায় নিয়োজিত জেলের সংখ্যা প্রায় ৪৭ হাজার। তাদের প্রত্যেককে নিষেধাজ্ঞাকালীন ৭৭ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। নিষেধাজ্ঞা সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রশাসনিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২৫
আরবি