ঢাকা, বুধবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২, ০৭ মে ২০২৫, ০৯ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

অনলাইন জুয়া নিষিদ্ধ: আইন উপদেষ্টা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:০৯, মে ৬, ২০২৫
অনলাইন জুয়া নিষিদ্ধ: আইন উপদেষ্টা আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল/ছবি: ফাইল ফটো

ঢাকা: প্রথমবারের মতো ইন্টারনেটকে নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি, অনলাইন জুয়া নিষিদ্ধ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে সাইবার অপরাধকে শাস্তিযোগ্য অপরাধের বিধান রেখে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।  

মঙ্গলবার (৬ মে) উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এ কথা জানান।

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, আমরা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন বলেছিলাম সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করে যুগোপযোগী আইন করবো। আমরা বিভিন্ন সময়ে খসড়া করেছি। আমরা সবাই মিলে কনসাল্টেশন করেছি। ২৫ বার খসড়া পরিবর্তন করেছি। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের পর এই সপ্তাহে চূড়ান্ত গেজেট জারি হবে।

‘প্রথমবারের মতো ইন্টারনেটকে নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। দেশে প্রথমবারের মতো অনলাইন জুয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো নারী-শিশু নির্যাতন এবং যৌন হয়রানির জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। নয়টি ধারায় কুখ্যাত মামলা হতো। এই ধারায় মামলাগুলো এখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। এ ছাড়া কিছু ধারা পরিবর্তন করা হয়েছে। ’ 

আইন উপদেষ্টা বলেন, মতামত বা কথা বলায় যে অপরাধ হতো সেখানে মাত্র দুটি বিষয় রাখা হয়েছে। একটি নারী ও শিশুর প্রতি যৌন নিপীড়নমূলক কনটেন্ট প্রকাশ বা হুমকি দেওয়া। আরেকটি হলো ধর্মীয় ঘৃণা ছড়ানোর মধ্য দিয়ে সহিংসতা উসকে দেওয়া হয়। এই মামলা হলে আমলি আদালতে যাবে, তারপর তিনি যদি দেখেন কোনো ভিত্তি নেই তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা বাতিল করতে পারবেন।  

আসিফ নজরুল বলেন, কথা বলা বা মতামত দেওয়ার জন্য যে মামলা হতো সেগুলো জামিনযোগ্য করা হয়েছে। কথা বলা বা মতামত দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি দুই বছরের সাজা। মিথ্যা মামলার ক্ষেত্রে সাজার বিধান আরও বেশি আছে।

তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথমবারের মতো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) মাধ্যমে কোনো সাইবার অপরাধ করা হয় সেটাকে শাস্তিযোগ্য করা হয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কনটেন্ট এবং বঙ্গবন্ধু সংক্রান্ত ধারায় প্রচুর মামলা করা হতো, এই ধারা বাতিল করা হয়েছে। মানহানিকর মামলা হতো সে ধারা বাতিল করা হয়েছে।  

আসিফ নজরুল বলেন, যে নয়টি ধারা বাতিল করা হয়েছে সেই ধারায় করা মামলাগুলো গেজেট নোটিফিকেশনের আগের দিন পর্যন্ত তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।  

এক প্রশ্নে তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত ৯৫ শতাংশ মামলা আছে। সেগুলো বাতিল হয়ে যাবে।

এমআইএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।