ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩২, ১৭ জুন ২০২৫, ২০ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

ই-কমার্স ও কুরিয়ার নিয়ে পরিকল্পনা জানালেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১:২১, মে ১৫, ২০২৫
ই-কমার্স ও কুরিয়ার নিয়ে পরিকল্পনা জানালেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ঢাকা: প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, বিগত সরকারের আমলে ই-কমার্স খাতে যে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে, তাতে মানুষ এর প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।

বুধবার (১৪ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাক ভবনে ডাক অধিদপ্তর, মেইল অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ এবং ই-কমার্স প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ই-কমার্সে মানুষের আস্থা পুনরুদ্ধার করার পাশাপাশি শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত ই-কমার্সের বিস্তৃত ঘটাতে ডাক বিভাগ এবং  বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে কাজ করে যেন লাভবান হতে পারে, সবাইকে সে চেষ্টা করতে হবে।  

উপস্থিত উদ্যোক্তারা বেশ কয়েকটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এর মধ্যে রয়েছে, পোস্ট অফিসে ওয়াইফাই সার্ভিস চালু, পোস্ট অফিসের ওয়্যার হাউজ ব্যবহার, অব্যবহৃত গাড়ি ভাড়ায় পরিচালনা করা, বিধিমালায় ক্ষতিপূরণের শর্ত শিথিল করা ও লাইসেন্সের স্তর কমিয়ে আনা।

আরও রয়েছে, লাইসেন্সের মেয়াদ দুই বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা, কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়িগুলোর ২৪ ঘণ্টা চলাচল নিশ্চিত করা, পণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে ডাক সেবার সময় বাড়ানো এবং আসন্ন ঈদুল আজহার বন্ধের সময় কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়ি চালু রাখার ব্যবস্থা করা।

বিধিমালায় ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত যে শর্ত রয়েছে, তা তিন মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণার পাশাপাশি লাইসেন্সবিহীন ব্যবসায়ীদের লাইসেন্সের আওতায় আনা হবে বলে জানান ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

তিনি সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে রেটিং প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি ই-কমার্স ব্যবসাকে শহর থেকে গ্রামে না গিয়ে গ্রাম থেকে শহরে এমনকি দেশের বাইরেও ছড়িয়ে দিতে রিভার্স ই-কমার্স পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।  

প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী বলেন, আমরা ই-কমার্স খাতকে দারিদ্র্য বিমোচনের মৌলিক উপকরণ হিসেবে দাঁড় করাতে চাই।  

তিনি বলেন, কেউ যদি গ্রাম থেকে তার বানানো পণ্য ঢাকায় ভোক্তার কাছে পৌঁছে দিতে চান, এর মাঝখানের ভ্যালুচেইন অ্যাড করে আপনারা দারিদ্র্য বিমোচনের গতি বাড়িয়ে দিতে পারেন। আমরা এই রিভার্স চ্যানেলটা গ্রাম থেকে শহরে অথবা বিদেশে ছড়িয়ে দিয়ে অ্যাক্সেস টু কাস্টমার নিশ্চিত করতে চাই।
 
নীতি পরিবর্তনের জন্য কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। পাশাপাশি তিনি ডাকের অব্যবহৃত গাড়ির ইনভেন্টরি করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

সভায় ডাক বিভাগের এক পরিচালক জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে ডাকের জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম সম্পূর্ণ কার্যকর হবে পাশাপাশি এপিআই বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সঙ্গেও শেয়ার করা যাবে।  

ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম শাহাব উদ্দিন সভায় সভাপতিত্ব করেন।

এমআইএইচ/আরএইচ         

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।