ঢাকা: সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি উপদেষ্টা পরিষদে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
রোববার (১ জুন) সচিবালয়ে তার দপ্তরে স্মারকলিপি দিতে গেলে তিনি এ কথা জানান।
কর্মচারীদের নেতা নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। এই আইন করে প্রত্যেক কর্মচারীকে আঘাত দেওয়া হয়েছে।
পরিবেশ উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে নুরুল ইসলাম বলেন, আপনার মতো উপদেষ্টা থাকার পরেও এ আইন পাস হয়েছে। আগামী ৪০ বছর পরেও মানুষ বলবে এটা কালো আইন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ আইন প্রয়োগ করবে আর ভোগ করব আমরা। আমাদের দাসত্বের রূপান্তরের জন্য এটা করা হয়েছে। আংশিক সংশোধন নয়, আমরা সম্পূর্ণ বাতিল চাই।
বাদিউল করীর বলেন, ভেতর থেকে এমন কে এ কালো আইন করতে উৎসাহিত করল? যখন পরিস্থিতি অস্থিতিশীল। এ আইন না করলে কি ক্ষতি হতো? আর এটা প্রয়োগ করলে কী ক্ষতি হবে সেটা ভেবে দেখার অনুরোধ করছি। এ আইনের ফলে সরকারি কর্মচারীদের সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হচ্ছে।
কর্মচারীদের বক্তব্য শোনার পর পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, এককভাবে কেউ সিদ্ধান্ত নেবে না। সম্মিলিতভাবে উপদেষ্টামণ্ডলীর বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমি আপনাদের দাবিগুলো জানিয়ে দেব।
তিনি বলেন, কথা বলার চ্যানেলটা খোলা থাকুক। আপনারা আইনটির অপব্যবহারের ভয় পাচ্ছেন, প্রয়োগ তো হয়নি। মিস ইউজের ভয় বিবেচনায় নিলাম। আইনটি আপনারা একভাবে দেখছেন, সরকার অন্যভাবে দেখেছে। আপনাদের কথাগুলো কনভে করা হবে। আমরা বৃহত্তর পরিসরে আলোচনা করব। যদি আপনাদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন হয় আবারও কথা বলব।
এমআইএইচ/আরআইএস