ঢাকা: ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় সামর্থ্যবান মুসলমানেরা ত্যাগের মহিমায় ঈদের নামাজের পর পরই পশু কোরবানি শুরু করেছেন।
শনিবার (৭ জুন) সকাল ৭টায় ঈদের নামাজ শেষ করে নগরবাসী পশু কোরবানি শুরু করছেন।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের নামাজ শেষ করেই পশু জবাই দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নগরবাসী। মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন এবং বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্ররা পশু জবাইয়ে অংশ নিয়েছে।
প্রতিবেশীরা একে অপরের গরু জবাই দিতে সহযোগিতা করছেন। বাড়ির সামনের রাস্তায়, গাড়ির গ্যারেজ এবং কেউ কেউ খোলা মাঠে পশু কোরবানি দিচ্ছেন।
এদিকে সিটি করপোরেশন থেকে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করার নির্দেশনা থাকলেও রাজধানীর অলিগলিতে কোরবানি করতে দেখা যায়। তবে অনেকেই পেশাদার কসাইয়ের অভাবে ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি করবেন বলে জানিয়েছেন।
হজরত ইবরাহিমের (আ.) দেখানো পথে ত্যাগের মহিমা ও উৎসর্গের আনন্দ নিয়ে শনিবার এ ধর্মীয় উৎসব উদযাপিত হচ্ছে।
‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ’ তাকবির ধ্বনি দিতে দিতে ঈদ জামাতে হাজির হন মুসল্লিরা। নামাজের পর মোনাজাতে দেশ-জাতি তথা বিশ্ব মুসলিমের জন্য দোয়া করা হয়।
ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী, কোরবানির পশুর মাংস আত্মীয়-স্বজন ও গরিব-দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়। অনেক সামাজিক সংগঠন দরিদ্র মানুষের ঘরে কোরবানির মাংস পৌঁছে দিতে কাজ করছে। ঈদের দিনে ধর্মীয় আবেগের পাশাপাশি সামাজিক সংহতি, সহমর্মিতা এবং সহযোগিতার চিত্রও ফুটে উঠেছে রাজধানীর অলিগলিতে।
এসএমএকে/এএটি