সিলেট: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এক দিনে তিনটি পৃথক স্থানে নারী ও শিশুসহ ৭১ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট সীমান্ত দিয়ে এসব পুশইনের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) ভোররাতে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার নোয়াকোট সীমান্ত দিয়ে তিনটি পরিবারের নারী-পুরুষ ও শিশুসহ মোট ২০ জনকে পুশইন করে বিএসএফ। পরে বিজিবি ৪৮ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা তাদের আটক করে। বিজিবির সিলেট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাজমুল হক জানান, আটককৃতদের মধ্যে ১৯ জনের বাড়ি কুড়িগ্রাম এবং একজনের বাড়ি পাবনা জেলায়।
এর এক দিন আগে সোমবার সকাল ৯টার দিকে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার লাতু বিওপি আওতাধীন কুমারশাইল সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে পুশইন করে বিএসএফ। এর মধ্যে ১২ জন রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু এবং ৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক। বিজিবি জানায়, সীমান্তের জিরো লাইনে নিয়ে তাদের জোর করে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয় বিএসএফ। পরে বিজিবি তাদের আটক করে থানায় সোপর্দ করে।
বড়লেখা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আটক ১২ জন রোহিঙ্গা ও ৪ বাংলাদেশিকে থানায় এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
বিজিবির সূত্র বলছে, গত দুই মাসে বড়লেখা সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে প্রায় ৫০০ জন রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিকে পুশইন করেছে ভারত।
মঙ্গলবার ভোরে একইভাবে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার কেন্দ্রী সীমান্ত দিয়ে ১৯ জনকে পুশইন করে বিএসএফের ৪ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। আটককৃতদের মধ্যে ৩টি পরিবারে রয়েছে ৬ জন পুরুষ, ৬ জন নারী ও ৭ জন শিশু। তাদের সকলের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়।
বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
এনইউ/এমজে