ঢাকা, রবিবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০১ জুন ২০২৫, ০৪ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

কুয়েটের ২য় সমাবর্তন শনিবার

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৩৭, ডিসেম্বর ৬, ২০১২
কুয়েটের ২য় সমাবর্তন শনিবার

খুলনা : খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ২য় সমাবর্তন অনুষ্ঠান শনিবার। এ উপলক্ষে সমগ্র ক্যাম্পাস জুড়ে বইছে সাজ সাজ রব।

যদিও এই প্রতিষ্ঠানে বিআইটি, খুলনা নামে থাকাকালীন সময়ে পূর্বে আরও দু’টি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২০০৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ১ম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর এ বছরই ২য় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদে এমেরিটাস প্রফেসর ড. জামাল নজরুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এ সমাবর্তনে সর্বমোট ২ হাজার ৫৫৫ জনকে ডিগ্রি প্রদান করা হবে। তার মধ্যে ২ হাজার ৪৪১ জনকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, ৬৯ জনকে এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, ৩৯ জনকে এমফিল ও ৬ জনকে পিএইচডি ডিগ্রির সনদ প্রদান করা হবে।
একই সঙ্গে স্নাতক পর্যায়ের ভাল ফলাফলের ভিত্তিতে ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্নপদক’ দেওয়া হবে ২৬ জন কৃতি গ্র্যাজুয়েটকে।

কুয়েট সূত্র বাংলানিউজকে জানান, ১৯৬৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসাবে প্রতিষ্ঠার অনুমোদন লাভের পর অবকাঠামো তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে শত সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও এর অবকাঠামো তৈরির কাজ সন্তোষজনক ভাবে চলতে থাকে।


অবশেষে বিভিন্ন ধরনের প্রতিকূলতার মাঝেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশেষ নির্দেশে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে ১৯৭৪ সালের ৩ জুন মাত্র ৩টি বিভাগ ও ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।

এরপর প্রকৌশল ও প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও আধুনিক জ্ঞানচর্চার সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারনের লক্ষ্যে খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে প্রথমে ১৯৮৬ সালে বিআইটি খুলনা উন্নীতকরণ এবং পরে ২০০৩ সালে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয়।

বর্তমানে ৩টি অনুষদের অধীনে মোট ১৫টি বিভাগ রয়েছে। সমাবর্তন প্রসঙ্গে কুয়েট ভিসি বলেন, আশা করছি নতুন পুরাতনদের এ মিলন মেলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে স্বাক্ষী হয়ে থাকবে। তিনি মনে করেন, সকলের সহযোগিতায় এ সমাবর্তন আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। যা নবীনদের প্রেরণা জোগাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১২
মাহবুবুর রহমান মুন্না/সম্পাদনা: বেনু সূত্রধর, নিউজরুম এডিটর, সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।