ঢাকা, রবিবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩২, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, নির্মূল সম্ভব নয়: তেজগাঁওয়ের ডিসি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:০৫, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫
মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, নির্মূল সম্ভব নয়: তেজগাঁওয়ের ডিসি ব্রিফিংয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান।

ঢাকা: পুলিশ মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, কিন্তু নির্মূল করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত আগের রাতে মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে চালানো অভিযানের বিষয়ে ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

জেনেভা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করে। কিন্তু কয়েকদিন পরেই তারা আবার জেল থেকে বেরিয়ে একই অপকর্মে জড়ায়। জেনেভা ক্যাম্পে মাদক ব্যবসা নির্মূল করা যাচ্ছে না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিসি ইবনে মিজান বলেন, মাদক আমরা (পুলিশ) নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, একেবারে নির্মূল করা সম্ভব না। বিভিন্ন অভিযানের মাধ্যমে আমরা মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের নিয়ন্ত্রণে রাখি। আমরা এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। আশা করি, আমরা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছে যাবো।

মোহাম্মদপুরে অপরাধ বাড়ার কারণ কি জানতে চাইলে ডিসি ইবনে মিজান বলেন, ৫ আগস্টের পর মোহাম্মদপুরে অপরাধের চরম বিস্ফোরণ ঘটেছে। যেসব অপরাধী বাইরে ছিল তারাও চলে এসেছে। অনেক অপরাধ সেখানে ঘটেছে। তারপর আমরা মোহাম্মদপুরে লাগাতার অভিযান চালিয়ে আসছি। গত ৬-৭ মাসে আমরা ৩ হাজারের বেশি অপরাধীকে আইনের আওতায় এনেছি। আমরা চেষ্টা করেছি প্রতিদিন যেসব এলাকায় অপরাধীদের বিচরণ রয়েছে সেখানে অভিযান পরিচালনা করতে। এর ফলে বেশি অপরাধ হওয়া জায়গায় অপরাধ কমে গেছে। আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। আশা করি, পরিস্থিতি আরও ভালো হবে।

মাদক ও সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্য খ্যাত রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী, বিক্রেতা, অস্ত্রের জোগানদাতা ও ককটেল সংরক্ষণকারীসহ ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে আটটি ককটেল, দুটি পেট্রোল বোমা, ছয়টি সামুরাই, পাঁচটি হেলমেট, তিনটি ছুরি, ১১টি চোরাই মোবাইল ফোন এবং ৫০০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়।

এ বিষয়ে ডিসি ইবনে মিজান বলেন, মোহাম্মদপুরের আলোচিত স্থান জেনেভা ক্যাম্পে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত হয়। মাদকের বিস্তারের জন্য এলাকাটি বেশ পরিচিত। আমরা (পুলিশ) নিয়মিতভাবে এখানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসছি। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত ১২০ জন পুলিশ সদস্য নিয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে আমরা মাদক ব্যবসায়ী, মাদক বিক্রেতা, অস্ত্রের জোগানদাতা, ককটেল সংরক্ষণকারীসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ৪০ জনকে আটক করি।

তিনি আরও বলেন, আটকদের মধ্যে জেনেভা ক্যাম্পের মাদক ব্যবসায়ী বুনিয়া সোহেল, পিচ্চি রাজা, চুয়া সেলিমের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও অনেকের নাম উঠে এসেছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করবো। বিভিন্ন সময় জেনেভা ক্যাম্পে যে, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয় সেটি যেন ভবিষ্যতে না ঘটে সেজন্য ডিএমপি সদা তৎপর থাকবে।

এসসি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।