‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন–২০২৫’ সংশোধনের দাবিতে এবং সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা কলেজে শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছেন ঢাকা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় তারা অবরোধ শুরু করেন।
অবরোধ চলাকালে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস ও উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক পারভীন সুলতানা হায়দার ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। পরে শিক্ষার্থীরা তাদের অনুরোধে সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে সরে গিয়ে কলেজে ফিরে যান।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, নতুন ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন–২০২৫’-এর বর্তমান ধারায় ঢাকা কলেজের ইন্টারমিডিয়েট বিভাগ বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানটির শতবর্ষের ঐতিহ্য ক্ষুণ্ন হবে বলে তারা দাবি করেন।
উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন বলেন, ‘ঢাকা কলেজের ইন্টারমিডিয়েট বিভাগ শুধু একটা শিক্ষা ধাপ নয়, এটা আমাদের ইতিহাসের অংশ। এই বিভাগ তুলে দিলে কলেজের ঐতিহ্য ধ্বংস হয়ে যাবে। ’
প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা চাই না আমাদের পরের প্রজন্ম এই কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়ার সুযোগ হারাক। শত বছরের পুরোনো এই ধারা বজায় রাখা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় করা যেতে পারে, তবে ঐতিহ্য মুছে দিয়ে নয়। ’
অবরোধের কারণে প্রায় এক ঘণ্টা সায়েন্সল্যাব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে আজিমপুর, নীলক্ষেত, শাহবাগ, ধানমন্ডি, কলাবাগান ও মোহাম্মদপুরসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
এর আগে সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা কলেজে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন–২০২৫’ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা শুরুর সময় শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে ‘দালাল’ মন্তব্যের অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে শিক্ষকরা ধরে কমনরুমে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে সহপাঠীকে ছাড়িয়ে আনেন।
এ সময় উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও স্নাতকের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এমএমআই/আরবি