ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

বাংলাদেশের ‘অভিবাসন ম্যানুয়াল’ প্রকাশ করল আইওএম  

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১:৫৪, অক্টোবর ১৫, ২০২৫
বাংলাদেশের ‘অভিবাসন ম্যানুয়াল’ প্রকাশ করল আইওএম


  অভিবাসন ম্যানুয়াল প্রকাশ করল আইওএম

ঢাকা: অভিবাসন ব্যবস্থাপনা আরও শক্তিশালী করতে এবং নীতিনির্ধারক, বাস্তবায়নকারী ও অংশীদারদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ও সমন্বিত দিকনির্দেশনা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) যৌথভাবে ‘অভিবাসন ম্যানুয়াল’ প্রণয়ন করেছে।  

একই সঙ্গে ‘বাংলাদেশ অভিবাসন স্ন্যাপশট রিপোর্ট ২০২৪’ প্রকাশ করেছে আইওএম।


 
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকায় ‘উন্নত অভিবাসনে জ্ঞানভিত্তিক উদ্যোগ’ শীর্ষক একটি উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে এ দুটি প্রকাশনা উন্মোচন করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের সার্বিক দিকনির্দেশনায় ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডার ইমিগ্রেশন, রিফিউজি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ (আইআরসিসি) এবং ইতালির পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় প্রণীত এ ম্যানুয়ালটি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অভিবাসন সংক্রান্ত একটি পূর্ণাঙ্গ তথ্য-সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণমূলক প্রকাশনা হিসেবে তৈরি হয়েছে। এটি তথ্যনির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সুষ্ঠু সমন্বয় এবং অভিবাসন প্রবণতা সম্পর্কে সমন্বিত বোঝাপড়া বাড়াতে সহায়তা করবে।
 
অভিবাসন ম্যানুয়ালটিতে ১৫টি বিস্তারিত মডিউল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেখানে অভিবাসন সম্পর্কিত মূল ধারণা, বৈশ্বিক ও জাতীয় নীতি কাঠামো (যেমন গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ফর সেফ, অর্ডারলি অ্যান্ড রেগুলার মাইগ্রেশন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো) এবং জেন্ডার, সুরক্ষা ও মানবাধিকারের মতো আন্তঃসম্পর্কিত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি সরকারি কর্মকর্তা, গবেষক ও উন্নয়ন সহযোগীদের জন্য একটি ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ ও রেফারেন্স প্রকাশনা হিসেবে কাজ করবে।
 
বাংলাদেশ অভিবাসন স্ন্যাপশট রিপোর্ট ২০২৪ বিভিন্ন উৎস থেকে সংগৃহীত তথ্য একত্রিত করে দেশের অভিবাসন প্রবণতা, নীতিগত অগ্রগতি ও প্রস্তাবিত করণীয়গুলোর একটি সামগ্রিক চিত্র উপস্থাপন করেছে। নির্ভরযোগ্য, বিভাজিত ও সময়োপযোগী অভিবাসন তথ্য সরকার, আইওএম এবং অংশীদার সংস্থাগুলোর জন্য একটি কৌশলগত হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে, যা চলমান প্রবণতা শনাক্ত, লক্ষ্যভিত্তিক কর্মসূচি পরিকল্পনা এবং পরিবর্তনশীল অভিবাসন গতিশীলতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উদ্যোগ নিতে সহায়তা করে। এটি তথ্য-নির্ভর নীতিনির্ধারণ, প্রভাব মূল্যায়ন, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং কাঠামোগত উন্নয়নে অবদান রাখবে।
 
বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম প্রধান শ্রম রপ্তানিকারক দেশ, যা ২০২৪ সালে ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স অর্জন করেছে। অভিবাসন দেশের অর্থনীতি, সামাজিক উন্নয়ন এবং লাখ লাখ পরিবারের জীবিকার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
 
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও কল্যাণ উইংয়ের মহাপরিচালক এটিএম আব্দুর রউফ মণ্ডল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের উন্নয়ন সহযোগিতা বিভাগের প্রধান মিশাল ক্রেইজা। আইওএমের এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ইওরি কাতো অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে ম্যানুয়াল ও স্ন্যাপশট রিপোর্টের উদ্বোধন করেন।
 
অনুষ্ঠানে সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, উন্নয়ন সহযোগী, জাতিসংঘ সংস্থার প্রতিনিধি এবং অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। তারা তথ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন, জ্ঞান বিনিময় ও প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে নিরাপদ ও সুশাসিত অভিবাসন নিশ্চিত করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

টি আর/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।