ঢাকা, সোমবার, ৪ কার্তিক ১৪৩২, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

বিমানবন্দরে আগুন: স্বরাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বে কোর কমিটি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:০০, অক্টোবর ১৯, ২০২৫
বিমানবন্দরে আগুন: স্বরাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বে কোর কমিটি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্তসহ আগুন লাগা প্রতিরোধে কোর কমিটি গঠন করেছে সরকার। স্বরাষ্ট্রসচিবকে প্রধান করে ১২ থেকে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট এই কোর কমিটি আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।

রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম ইপিজেডসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির (পুনর্গঠিত) জরুরি বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আজকে আমরা দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলেছি। বহু কিছু নিয়ে আলাপ আলোচনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিবকে প্রধান করে একটা কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করব। তারা শুধু আগুন নয়, অন্যান্য দুর্যোগ যেগুলো হয়, সেসব নিয়েও যাতে যথাযথভাবে ব্যবস্থা নিতে পারি। কমিটি সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে একটা রিপোর্ট দেবে।

সচিবালয়েও আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে, সেখানে তদন্ত কমিটি কী পেলো, কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে—এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়টাও এখানে উল্লেখ হয়েছে, সেখানে কিছু কিছু কাজ হয়েছে, কিছু কিছু কাজ হয়নি। কেন হয়নি সেটার জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরও বহু স্থাপনা আছে যেখানে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা আছে কিন্তু কার্যকর নাই। সেগুলো কেন নাই সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।

একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে কোনো নাশকতার শঙ্কা করছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কিছু বলতে পারছি না।

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত কমিটিতে কাদের গাফিলতি দেখতে পাচ্ছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তখনও স্বরাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বেই কমিটি হয়েছিল।  ফলে সচিবের কাছ থেকেই জানতে চাওয়া হয়েছে।

কমিটির পর্যালোচনায় কী পাওয়া গেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এতক্ষণ এসব নিয়েই আলোচনা করলাম। আমাদের সক্ষমতা ও অক্ষমতা সবটা নিয়েই আলোচনা করেছি। বহু কিছু আছে, এ ধরনের ঘটনাগুলো তদন্ত করার মতো টেকনিক্যাল সরঞ্জাম নাই। আমাদের সীমাবদ্ধতা নিয়েও আলোচনা করেছি। আমরা আশা করছি ৫ নভেম্বরের মধ্যে একটা পরিচ্ছন্ন রিপোর্ট পাব। তখন আপনাদের জানানো যাবে।

সচিবালয়ের ঘটনায় কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, সে বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে জানতে চেয়েছি। ৫ নভেম্বরের পর আমরা সুস্পষ্ট বলতে পারব।

বিমানবন্দরের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস সঠিক সময়ে যায়নি এবং ফায়ার সার্ভিস থেকে বলা হয়েছে সেখানে অগ্নিনির্বাপণের পরিপূর্ণ ব্যবস্থা ছিল না—এমন প্রশ্নের জবাবে ফারুক ই আজম বলেন, পরিপূর্ণ সবটাতে ছিল তা না, কিছু কিছু ঘাটতি ছিল। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ফায়ার সিস্টেম ছিল, সেটা তাদের পর্যাপ্ত ছিল না। সে কারণে এটা সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা সব কিছু জানতে চেয়েছি। কেন আরও দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি?  রিপোর্টা পেলেই আমরা বিস্তারিত জানতে পারব।

প্রযুক্তিগত স্বল্পতার কথা বলেছেন, দেশের বাইরে থেকে আনার কোনো চিন্তা আছে কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের চিন্তার মধ্যে আছর। কমিটি যদি সুপারিশ করে। তাহলে বাইরে থেকে প্রযুক্তি আনা যেতে পারে।

সরকারের সক্ষমতার অভাব আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ফারুক ই আজম বলেন, আগুন তো লাগতেই পারে। সেটা নির্বাপণের বিষয়ে সরকারের সক্ষমতা ও অক্ষমতার একটা বিষয় আছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানেরও কিছু দায় থাকে। সেগুলো আমরা সব কিছু ক্ষতিয়ে দেখব।

অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয় ক্ষতি আপনারা নিরূপণ করবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, না, সেটার জন্য বিমানবন্দর অথরিটি একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তারা সেটা নিরূপণ করবে।

জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।