কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার আদাবাড়ি-মনোহরপুর মাঠের খালের পাশের মাঠ থেকে উদ্ধার করা লাশের পরিচয় সনাক্ত করেছেন তার স্বজনেরা।
নিহত রফিকুল ইসলাম মজুমদার (৪৩) ঢাকার যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ায় বসবাস থাকতেন।
রফিকুল ইসলাম মজুমদারের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা ঝড়া ও মামাতো বোন রহিমা বেগমসহ স্বজনেরা রোববার সকাল ৯টায় কুমারখালী থানায় এসে লাশটি তার বলে সনাক্ত করেছেন।
নিহতের স্বজনেরা জানিয়েছেন, রফিকুল ঢাকার ৫৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবাজার মার্কেট কমিটির সহ-সভাপতি। সাভার তার কারখানা রয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার আনন্দনগর গ্রামে তার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে তিনি ৠাব পরিচয়ধারীদের হাতে অপহৃত হন।
উল্লেখ্য, শনিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার আদাবাড়ি-মনোহরপুর মাঠের খালের পাশ থেকে অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় লাশটির হাতে পুলিশ লেখা হাতকড়া পড়ানো ছিল।
তাকে পিটিয়ে ও গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশটি ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী নেওয়াজ রফিকুলের শ্বাশুড়ি লিপি খাতুনের বরাত দিয়ে বাংলানিউজকে জানান, রফিকুল ঢাকার ৫৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবাজার মার্কেট কমিটির সহ-সভাপতি।
পুলিশ আরও জানায়, শুক্রবার রাতে রফিকুল ইসলাম সাভারের নিজ ফ্যাক্টরি থেকে ব্যবসায়িক কাজ শেষ করে ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার আনন্দনগর গ্রামে তার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সেখানে যাওয়ার পর শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রফিকুল শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে বসে গল্প করছিলেন। এ সময় একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাস এসে বাড়ির সামনে থামে। পরে ওই গাড়ি থেকে ৬ থেকে ৭ জন লোক নিজেকে র্যাব পরিচয় দিয়ে রফিকুলকে তুলে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তাকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে।
পরে মধ্যরাতে পুলিশ নিহত ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে কুমারখালী থানায় নিয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৩
সম্পাদনা: মাহাবুর আলম সোহাগ, নিউজরুম এডিটর ও অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর- [email protected]