ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উদ্বোধনী গানে বাংলাদেশ চিনে নেওয়ার আহ্বান

আরিফুল ইসলাম আরমান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১১
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উদ্বোধনী গানে বাংলাদেশ চিনে নেওয়ার আহ্বান

ঢাকা: দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ হচ্ছে, ভাবতেই ভালো লাগছে। বিশ্বকাপকে নিয়ে কত আয়োজন চলছে।

ঘঁষা-মাঝা করে সৌন্দয্যবর্ধনের নানা কর্মযজ্ঞ প্রতিনিয়তই চোখে পড়ছে। এর বাইরেও চলছে নানা ধরনের কাজ। কি হবে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উদ্বোধনী সঙ্গীত? কারা গাইবেন সে গান। এ নিয়ে ভাবনার অবসান হয়েছে। গান লেখা শেষ। কারা গাইবেন তাও নির্ধারণ চূড়ান্ত। এখন চলছে অনুশীলনের পালা।   বিশ্বকাপ ক্রিকেট-২০১১ এর উদ্বোধনী সংগীত লিখেছেন সাংবাদিক গীতিকার জুলফিকার রাসেল। তিনি লিখেছেন, ‘ও পৃথিবী, এবার এসে বাংলাকে নাও চিনে। ও পৃথিবী এবার এসে বাংলাদেশ নাও চিনে’।  

আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি এ গান গাওয়ার মধ্যদিয়েই ঢাকায় পর্দা উঠবে বিশ্বকাপ ক্রিকেট-২০১১এর।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইবরার টিপুর পরিচালনায় গানটি গাইবেন হাবিব ওয়াহিদ অথবা হৃদয় খান। সঙ্গে থাকবেন ইবরার টিপু, মিলা ও এলিটা। মিলা ও এলিটা ৫ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের এ গানটির ইংরেজি অংশেও কণ্ঠ দিয়েছেন। আর কোরাসে কণ্ঠ মিলিয়েছেন ক্ষুদে গানরাজ এষা, নওমি, সাবিরা ও রিজভি ওয়াহিদ।

জুলফিকার রাসেলের পুরো গানটি হচ্ছে: ‘ও পৃথিবী...এবার এসে বাংলাকে নাও চিনে..., ও পৃথিবী...এবার এসে বাংলাদেশ নাও চিনে। জয় দেখেছি প্রথম যেদিন...ভয় গিয়েছি ভুলে...জয় দেখেছি ২১ যেদিন,...এল মাথা তুলে, জয় দেখেছি...সূর্য উঠার ৭১-এর দিনে। আমার আছে দ্বিগবিজয়ী...দীর্ঘসাগর তীর, আকাশ ডুবে...ঠায় দাঁড়িয়ে...সুন্দরী প্রাচীর। জয়ের নেশা...বাংলাদেশের হৃদয় গহীনে, ও পৃথিবী...এবার এসে বাংলাকে নাও চিনে...ও পৃথিবী...এবার এসে বাংলাদেশ নাও চিনে’।

সংগীতটির মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে। এতে বায়ান্নোর ভাষা-আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও নয়নাভিরাম সুন্দরবনের পাশাপাশি বাংলাদেশের জয়ের নেশার কথাও যোগ করা হয়েছে।

জুলফিকার রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, ‘কিছু কিছু আনন্দ মানুষ প্রকাশ করতে পারে না। একাজটি করতে পেরে আমি তেমনি আনন্দিত। এ আনন্দের কোন সীমা নেই। গানটির মাধ্যমে আমি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, ক্রিকেট দল, সুন্দরবন, কক্সবাজারসহ নানা দিক বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ’

ক্লাসিক্যাল থেকে ফোকসহ আধুনিক সুর মিলিয়ে তৈরিকৃত গানটিতে ব্যবহার করা হয়েছে দোতরা, সানাই থেকে শুরু করে প্রচলিত দেশীয় সুরযন্ত্র।  

বাংলাদেশ সময়: ১১২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।