ঢাকা, সোমবার, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

গণভবন জনগণের ভবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৫
গণভবন জনগণের ভবন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: গণভবনকে জনগণের ভবন বলে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবাই যেন এই ভবনে যেতে পারে সে ব্যবস্থাই নিশ্চিত করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।


 
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট আয়োজিত শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এই গণভবন, এটাতো গণভবন, জনগণের ভবন। এবং স্বাধীনতার পর এই ভবনটিতে জাতির পিতা অফিস করতেন।
 
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বরেণ্য শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আজ আপনাদের আগমনে গণভবন ধন্য হয়েছে।

এ সময় শিশু-কিশোরদের গণভবনে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট্রের পক্ষ থেকে প্রতিবছর শিশু-কিশোরদের মাঝে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের কথা থাকলেও তা নিয়মিত হয়নি। এ প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর সময়মতো পুরস্কার হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি। আসলে আমিই সময় দিতে পারিনি, আমার দোষেই হয়নি। এজন্য আমি দুঃখিত।
 
ট্রাস্টের কার্যক্রম প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ট্রাস্টের পক্ষ থেকে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। রোগে ভোগা মানুষের চিকিৎসায় হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। ওই হাসপাতাল থেকে কোনো লাভের অংশ গ্রহণ করা হয় না। বিনা পয়সায় রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
 
নতুন প্রজন্মের জন্য সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে আমরা এমনভাবে গড়ে তুলতে চাই, যাতে বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু শিক্ষা-দীক্ষায় উন্নত হবে। আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন হবে।
 
‘সেটা বাস্তব, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করেছি। কম্পিউটার শিক্ষা আজকে সার্বজনীন করে দিয়েছি। কাজেই বাংলাদেশ এখন সব দিক থেকে বিশ্ব সভায় এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের আজকে যারা শিশু তারা যেন আগামী দিনে উন্নত ও শান্তিপূর্ণ জীবন পায় সেটাই আমাদের কামনা। ’
 
তিনি বলেন, আমরা চাই বিজয়ী জাতি হিসেবে বাঙালি জাতি বিশ্ব সভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হোক।
 
বঙ্গবন্ধুর নির্মমভাবে সপরিবারে নিহত হওয়ার ঘটনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ হবে একটা উন্নত দেশ- এই কর্মসূচি যখন বঙ্গবন্ধু শুরু করলেন, দেশের মানুষ এর শুভফল পেতেও শুরু করলো। কিন্তু আমাদের দ‍ুর্ভাগ্য যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বিরোধিতা করেছিলো, হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর ছিলো এবং যারা যুদ্ধাপরাধী ছিলো; বঙ্গবন্ধু যাদের বিচারও শুরু করে ছিলেন, তারা ষড়যন্ত্র করে ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২-এর ওই বাড়িতে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে। শুধু আমি ও আমার ছোট বোন বিদেশে ছিলাম বলে বেঁচে গিয়েছিলাম। ’
 
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, চিত্রশিল্পী হাশেম খান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী মাসুরা হোসেন প্রমুখ।
 
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমান।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২১০৫/আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা
এমইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।