ঢাকা, রবিবার, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বসিকে পশু কোরবানির জন্য ১০০ স্থান নির্ধারণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৫
বসিকে পশু কোরবানির জন্য ১০০ স্থান নির্ধারণ

বরিশাল: ঈদুল আজহা উপলক্ষে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ৩০টি ওয়ার্ডে পশু কোরবানি জন্য ১০০টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশপাশি প্রতিটি স্থানে মাংস বহনের জন্য প্লাস্টিকের ব্যাগ ও ময়লা-আবর্জনা, পশুর বর্জ্য সহজে অপসারণের লক্ষে বস্তা দেওয়া হবে।



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগরীর স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখার উদ্দেশে এ বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনরে ভেটেনরি সার্জন ডা. মো. রবিউল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ইতোমধ্যে সিটি কর্পোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা তাদের ওয়ার্ডে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির লক্ষে তালিকা দিয়েছেন। তবে, এ ক্ষেত্রে নির্ধারিত কোনো সংখ্যা নেই। কেউ ২টি, কেউ ৫টি করে নির্ধারিত স্থানের নাম দিয়েছেন।

এর বাইরে কেউ পশু কোরবানি করতে চাইলে সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি নিজ দায়িত্বে পশু কোরবানি ও বর্জ্য অপসারণ করবেন। তবে, সড়কের পাশে কোনোভাবেই পশু কোরবানি করতে দেওয়া হবে না।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা দীপক লাল মৃধা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ১০০ টি স্পটে কোরবানির পশু জবাই দেওয়ার স্থান ঠিক করেছি। প্রয়োজনে এই সংখ্যা বাড়তে পারে।

নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির বিষয়ে ঈদের তিন দিন আগে থেকে প্রচার চালানো এবং সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন গরুর হাটে মাইকের মাধ্যমে এসব বিষয়ে সচেতনতা মূলক প্রচারণা চালানো হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ তারা যেন নির্ধারিত স্থানেই কোরবানি করেন।

তিনি আরও বলেন, নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই করা হলে সেখানে পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন। দ্রুত ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করা সম্ভব হবে। আর সবাই যদি বাড়ির সামনে কোরবানি দেন তাহলে ময়লা পরিস্কার করা কঠিন হয়ে পড়বে। এ বছর তিনদিনের মধ্যে পুরো নগরী থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হবে। এ জন্য ২ শতাধিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করবেন।

পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা দীপক লাল মৃধা বলেন, জনগণের চলাচলের পথে, মহাসড়কের পাশে যেন পশুর হাট না বসে সে জন্য সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ’র কড়া নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ইতোমধ্যে পশু কোরবানি ও কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ শুরু হয়েছে। এলক্ষে হাটগুলোতেও বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে।

এদিকে, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় স্খায়ী হাট বাঘিয়া ও কসাইখানা ব্যতিত অস্থায়ী ভিত্তিতে ৮ টি হাটের আবেদন করলেও যাচাই-বাছাই শেষ না হওয়ায় সে হাটগুলোর অনুমোদন এখনও দেওয়া হয়নি।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বরিশাল সদর উপজেলায় কাকাশুরা, তালতলী বাজার, বাকেরগঞ্জের রত্না আমিন বাজার, বাবুগঞ্জের মোহনগঞ্জ, পাংশা ও মাধপাশায় ৬ টি হাটের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি মুলাদী উপজেলা থেকে ১টি আবেদনসহ বেশ কয়েকটি আবেদন জেলা প্রশাসনের কাছে করা হয়েছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে ২/১ দিনের মধ্যে অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার শাখা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৫
পিসি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।