ঢাকা: মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে সিঙ্গাপুর নেওয়ার পথে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে মৃত্যুবরণ করা ছেলে আমান মমতাজ মওদুদের মরদেহ নিয়ে কিছুটা জটিলতায় পড়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কুয়াশার কারণে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরের কার্গো ইউনিটে ল্যান্ড করে আমানকে বহনকারী মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।
এরই মধ্যে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও তার স্ত্রী হাসনা মওদুদের কোলে মারা যান তাদের পুত্র সন্তান আমান মমতাজ মওদুদ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, মরহুম আমান মমতাজ মওদুদ ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ায় সিঙ্গাপুরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ স্থানীয় ব্রিটিশ হাইকমিশনকে বিষয়টি জানান।
এরপর সিঙ্গাপুরের ব্রিটিশ হাইকমিশন আমানের মরদেহ মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে না নিয়ে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ব্রিটিশ নাগরিক আমান মমতাজ মওদুদের মৃত্যুর পেছনে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতল কর্তৃপক্ষের কোনো অবহেলা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে সিঙ্গাপুর সরকারকে অনুরোধ করেছে স্থানীয় ব্রিটিশ হাইকমিশন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চলছে আমানের মরদেহের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। সব কিছু ঠিক থাকলে বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও হাসনা মওদুদের কাছে আমান মমতাজ মওদুদের মরদেহ হস্তান্তর করতে পারে কর্তৃপক্ষ।
পরিবারের বরাত দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরেই মরদেহ নিয়ে ঢাকায় ফিরতে চেয়েছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। কিন্তু কিছুটা জটিলতার কারণে সেটি হচ্ছে না। বুধবার সিঙ্গাপুর সময় সকাল ৮টার পর জানা যাবে, ছেলের মরদেহ নিয়ে কখন দেশে ফিরবেন তিনি ।
এদিকে, ছেলেকে হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। অঝোর ধারায় কাঁদছেন তিনি।
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ছেলের শারীরিক অবস্থার অবনতির পরই দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছিলেন মওদুদ।
অবস্থার আরও অবনতি হলে দ্রুত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই মারা যান আমান মমতাজ মওদুদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৫
এজেড/টিআই/জেডএম