ঢাকা, শনিবার, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

নড়ছে শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের গেট!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৫
নড়ছে শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের গেট! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার): নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই নড়ছে শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের গেট! ভানুগাছ রোডের রেলগেট সংলগ্ন গেটটির নিচ দিয়ে ভারি যানবাহন অতিক্রমের সময় কখনো কখনো তা নড়ে উঠছে। যেকোনো সময় গেটটি ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।



অভিযোগ রয়েছে, এ গেট নির্মাণে মানা হয়নি সিডিউল নীতিমালা। ফলে দুর্বল হয়ে রয়েছে এর অবকাঠামো। ফটকটি নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির কথাও বলছেন স্থানীয় জনগণ।

উপজেলা পরিষদের দু’টি গেটের মধ্যে ভানুগাছ রোডের রেলগেট সংলগ্ন গেটটি সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সর্বশেষ ব্যবহৃত টাইলসগুলো চারদিকে ঘষে মসৃণ করার মধ্য দিয়ে নির্মাণ কাজের ইতি টানা হয়। শহরের গুহ রোডে অবস্থিত উপজেলা পরিষদের অন্য গেটটি এখনো নির্মাণাধীন।

জানা গেছে, চলতি বছরের জুন মাসের শেষের দিকে উপজেলা পরিষদের গেট নির্মাণের সিডিউল জমা দিয়ে প্রায় তিন লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়। সিডিউল অনুসারে প্রতিটি গেট তৈরির সময় ২০ মিলিমিটার (৭ সূতা) করে ৩২টি রড দেওয়ার কথা ছিল।

সরেজমিনে ওই স্থাপনা দু’টি পরিদর্শনে গেলে অনিয়ম ধরা পড়ে। নির্মাণাধীন গেটটিতে দেখা যায়, ৩২টি রডের স্থলে ১৬ মিলিমিটারের (৫ সূতা) মাত্র ১২টি রড দেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় দু’জন ব্যক্তি বলেন, গেটের পিলার যতো বড় দেখা যাচ্ছে আসলে ততো বড় নয়। পিলারটি প্রায় অর্ধেক। টাইলস লাগানোর সময় মূল পিলার থেকে চারদিকে বাড়তি অংশ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে এ গেটটি অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে। নিচ দিয়ে গাড়ি গেলে গেটটি মাঝে মাঝেই নড়ে উঠছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফার্নিচার ব্যবসায়ী বলেন, গেটের ওপরের এক ফুট জায়গা ঢালাই ছাড়া করা হয়েছে। এ জায়গাটুকুতে শুধু সিমেন্ট দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী মো. আফসার আহমেদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ কথা আপনাকে কে বলেছে?’ আমাদের তদন্তে এমন অনিয়ম বের হয়ে এসেছে- এ কথা জানালে তিনি বলেন, ‘এখন আপনি কী বলতে চান?’

এ কাজটি সিডিউল মোতাবেক হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যথাযথভাবেই হয়েছে। যতোটা রড দেওয়ার কথা ততোটাই দেওয়া হয়েছে। ১৬টি রড দেবো নাকি, ১০টি দেবো সেটা তো আমরা জানি’।  

মৌলভীবাজারের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে কী হয়েছে? 

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রনধীর কুমার দেব বাংলানিউজকে বলেন, আমি বিশেষ কাজে ঢাকায় আছি। শ্রীমঙ্গল ফিরে এসে ব্যাপারটি দেখবো।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৫
বিবিবি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।