ঢাকা, শনিবার, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

যাত্রী খরায় বিআরটিসি টিকিট কাউন্টার

শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৫
যাত্রী খরায় বিআরটিসি টিকিট কাউন্টার ছবি: জি এম মুজিবুর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। ঈদ উপলক্ষে বাস, ট্রেন ও লঞ্চের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে আগেই।



ঈদে বাড়তি যাত্রীর চাপ সামলাতে প্রতি বছরই সরকারি পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি ঈদ স্পেশাল সার্ভিস চালু করে থাকে। এবারও সেই ঈদ স্পেশাল সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছে বিআরটিসি।

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিআরটিসি বাস ডিপোতে একযোগে শুরু হয় ঈদ স্পেশাল সার্ভিসের টিকিট বিক্রি।

রাজধানীর কয়েকটি ডিপো ঘুরে দেখা যায়, টিকিট বিক্রেতা কাউন্টার খুলে বসে আছেন। তবে সেভাবে দেখা মিলছে না যাত্রীদের। দুই একজন আসছেন, তাদের মধ্যে কেউ টিকিট কিনছেন, কেউবা প্রয়োজনীয় তথ্য শুনেই চলে যাচ্ছেন।

কল্যাণপুর বিআরটিসি বাস ডিপোতে যাত্রীদের কোনো লাইন দেখা যায়নি। যারা আসছেন, তারা টিকিট নিয়ে চলে যাচ্ছেন। কল্যাণপুর ডিপোর সামনেই দেখা মেলে নওগাঁর যাত্রী মো.সাইদের সঙ্গে।

তিনি বাংলানিউজকে জানান, বিআরটিসি’র টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে, তা অনেকেই জানে না। আমিও জানতাম না। এখানে এসে দেখি টিকিট দিচ্ছে, তাই ভিড় হওয়ার আগেই টিকিট কিনে নিলাম।

কাউন্টার মাস্টার আমিনুল ইসলাম জানান, আমাদের যাত্রী মূলত গার্মেন্টস কর্মীরা। গার্মেন্টেস বেতন বোনাস দিলেই যাত্রীর চাপ বাড়বে।

কল্যাণপুর ডিপো থেকে দেওয়া হচ্ছে রাজশাহী, নওগাঁ, রংপুরের টিকিট। বিআরটিসি’র দ্বিতল বাসের টিকিট মিলবে এখানে। সরকার নির্ধারতি ভাড়া অনুযায়ী রাজশাহীর ভাড়া ৪২০ টাকা, রংপুর ৫০০ এবং নওগাঁ ৪২০ টাকা।

সংবাদকর্মীর পরিচয় দিলে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভাই আমাদের কথা একটু ভালো করে লিখেন, যাত্রী নেই, যাত্রীর খরা। সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত প্রতিটি ট্রিপে ৪ থেকে ৫টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। তবে আশা করছি আগামী দু’দিনে টিকিট বিক্রি বাড়বে।

তিনি বলেন, আমাদের বাসের কোনো সমস্যা নেই। যাত্রীর চাহিদা অনুযায়ী যত বাস লাগবে, সব প্রস্তুত আছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত টিকিট দিতে পারবো।

গাবতলী বাস ডিপোতে ঘুরে দেখা যায়, টিকিট প্রত্যাশী যাত্রীদের নেই কোনো চাপ। কাউন্টার খুলে টিকিট হাতে নিয়ে বসে আছেন কাউন্টার মাস্টাররা।

এদিকে, গুলিস্তান বিআরটিসি কাউন্টারে একই চিত্র লক্ষ্য করা যায়। সকাল থেকেই এখানে তেমন কোনো ভিড় দেখা যায়নি। যারা যখন আসছেন, টিকিট নিয়ে চলে যাচ্ছেন নির্বিঘ্নে।

বিআরটিসি’র গুলিস্তান শাখার কাউন্টার মাস্টার মো. সোহেল বলেন, গাড়ি আছে, টিকিট আছে, কিন্তু যাত্রী নেই। যে আসবে টিকিট পাবে, কোনো সমস্যা হবে না।

এছাড়া, বিআরটিসি’র টিকিট পাওয়া যাচ্ছে মিরপুর-১২, কুড়িল, জোয়ার সাহারা, মতিঝিল, মোহাম্মদপুর বাস ডিপো, নারায়ণগঞ্জ বাস ডিপো, গাজীপুর এবং নরসিংদী বাস ডিপোতে। ঈদ উপলক্ষ্যে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে বিআরটিসি’র স্পেশাল সার্ভিস চালু হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৫
এসএম/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।