ঢাকা, শুক্রবার, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

শেরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মহসীন মাস্টার আর নেই

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৫
শেরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মহসীন মাস্টার আর নেই মো. মহসীন আলী

শেরপুর: মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, রাজনীতিক মো. মহসীন আলী মাস্টার (৮২) আর নেই।

শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বুধবার(১৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের রাজাবাড়ি এলাকার নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন।

তিনি প্রায় একমাস ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুকালে মহসীন আলী স্ত্রী, চার ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।  

মহসীন আলী মাস্টার মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে শেরপুরে ৭ সদস্যের সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে তিনি ভারতের ঢালু ইয়ুথ ক্যাম্পের ইনচার্জ ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি শেরপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত শেরপুরকে ৬১তম জেলা হিসেবে তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগেরও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মহসীন মাস্টার।

রাজনীতির পাশপাশি তিনি শেরপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। শতবর্ষের ঐতিহবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমির প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। শেরপুরের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিএসের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন এই শিক্ষাবিদ।

মহসীন আলীর মৃত্যুতে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, হুইপ আতিউর রহমান আতিক, সংসদ সদস্য প্রকৌশলী ফজলুল হক চাঁন, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য ফাতেমাতুজ্জহুরা শ্যামলী গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও পৌর মেয়র হুমায়ুন কবীর রুমান, এফবিসিআই পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা মো. মাসুদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম হিরু, সাংবাদিক বিপ্লবী রবি নিয়োগী সভাকক্ষ পরিচালনা পর্ষদ এবং বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন গভীর শোক প্রকাশ করেছে। তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাতে শহরের মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে বৃহস্পতিবার(১৭ সেপ্টেম্বর) ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত শহরের চকবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাঁর মরদেহ রাখা হবে। বাদ জোহর দুপুর ২টায় শহরের তিনআনি বাজার মাইসাহেবা মসজিদ চত্বরে প্রথম নামাজে জানাজা ও বিকেল ৩টায় সদর উপজেলার মির্জাপুর ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় নামাজে শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৫
পিসি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।