টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে পুলিশ-এলাকাবাসী সংঘর্ষে আরও একজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ শ্যামল পালের মৃত্যু হয়।
নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা অনুদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
১৫ সেপ্টেম্বর কালিহাতীতে ছেলের সামনে মাকে ধর্ষণের প্রতিবাদে শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঘাটাইল-কালিহাতী এলাকাবাসী মিছিল বের করে। এ মিছিলে বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে এর আগে ঘাটাইল উপজেলার সাতুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা ফারুক (৩২) ও কালিয়া গ্রামের আলহাজের ছেলে শামীম (৩৫) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। শুক্রবার সন্ধ্যায় কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফারুক ও টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে শামীম মারা যান।
![](files/September2015/September18/tan2_717755819.jpg)
কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাফুজা ইয়াসমিন তাদের মৃত্যুর বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
ধর্ষকের বিচার চেয়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড ও ঘাটাইল উপজেলার হামিদপুরে পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বাংলানিউজকে জানান, বিকেলে কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড ও ঘাটাইল উপজেলার হামিদপুরে মিছিল বের করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় কালিহাতী থানা পুলিশ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে মিছিলে বাধা দিলে মিছিলকারীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড শটগানের গুলি ছুড়লে সাতজন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে ফারুককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। গুরুতর আহত শামীমকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে পথেই তার মৃত্যু হয়। ঢাকায় নেওয়ার পথে রাতে গুলিবিদ্ধ শ্যামল পালের মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ বাকি ৫ জনকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
![](files/September2015/September18/tan1_219093323.jpg)
এদিকে, ফারুকের মৃত্যুর খবরে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কে বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেছে বিক্ষোভকারীরা। সংঘর্ষের বিষয় জানতে কালিহাতী থানার ওসিকে বারবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৫/আপডেট: ২৩০০ ঘণ্টা
পিসি/আরএম
** টাঙ্গাইলে সংঘর্ষে ‘গুলিবিদ্ধ’ ৪