ঢাকা: অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে সারাদেশের সরকারি কলেজে কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা।
বিসিএস শিক্ষক সমিতির আহ্বানে শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে দু’দিনের কর্মবিরতি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন সমিতির মহাসচিব আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার।
শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সব সরকারি কলেজের শিক্ষক, আলিয়া মাদরাসা, শিক্ষক প্রশিক্ষণ (টিটি) কলেজ, গভ. কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট, শিক্ষাবোর্ড, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অফিস ও প্রকল্পে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন।
এর মধ্যে ২৭০টি সরকারি কলেজ, তিনটি আলিয়া মাদ্রাসা, ১৪টি টিটি কলেজ ও ১৬টি কমার্শিয়াল কলেজসহ শিক্ষা ক্যাডারের ১৫ হাজার কর্মকর্তা রয়েছেন।
কর্মবিরতি চলাকালে কলেজ শিক্ষকরা সব ধরনের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন পরীক্ষা বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
তবে, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসির) একটি নিয়োগ পরীক্ষা কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছে বিসিএস শিক্ষক সমিতি।
এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানগুলোতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা।
সেলিম উল্লাহ বলেন, সরকার আমাদের দাবির ব্যাপারে কোনো সাড়া দেয়নি। তাই পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দু’দিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবো।
অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাতিল করায় অধ্যাপকদের বিদ্যমান বৈষম্যমূলক বেতন স্কেল আপগ্রেডেশনের পরিবর্তে অবনমনের প্রতিবাদে শিক্ষকরা এ কর্মসূচি পালন করছেন।
তাদের অভিযোগ, সিলেকশন গ্রেড না থাকায় অধ্যাপকরা চতুর্থ গ্রেড থেকে অবসরে যাবেন, এতে অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা উচ্চ পদগুলোতে আসবেন, এটা বৈষম্যমূলক।
শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শনিবারের একটি পরীক্ষা পিছিয়ে ৩১ অক্টোবর নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৫
এমআইএইচ/জেডএস