ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

সুশাসনের মাধ্যমেই দেশের উন্নয়ন, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৫
সুশাসনের মাধ্যমেই দেশের উন্নয়ন, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সুশাসন নিশ্চিতের মাধ্যমে উন্নয়নের গতিধারাকে ত্বরান্বিত করবো। এর মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।

 

রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে ৪৮টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবরা দ্বিতীয়বারের মতো বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

একটি মন্ত্রণালয় সারা বছর যেসব কাজ করবে সেটিই হলো এই বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আমরা রূপকল্প-২০২১ প্রণয়ন করি। জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে বিপুলভাবে বিজয়ী করেন। আমরা জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করে যাচ্ছি। দেশবাসীর কাছে আমাদের অঙ্গীকার, আমরা সুশাসন নিশ্চিত করবো।

সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে সরকারি কর্মকর্তাদের আরো আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের হাতে আর তিন বছর সময় আছে। এ তিন বছরের মধ্যেই আমরা বাংলাদেশকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যেতে চাই, যাতে এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কখনো কেউ খেলতে না পারে। বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ যেন আর কখনও শোষিত-বঞ্চিত না হয়।

তিনি বলেন, আমরা শাসক হিসেবে নয়, জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করছি।

সরকার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সব পরিকল্পনা সাধারণ মানুষকে ঘিরে। মানুষের কল্যাণ করতে না পারলে আমাদের রাজনীতি করার অর্থ নেই।

তিনি বলেন, আমরা সুষম উন্নয়নে বিশ্বাস করি। সেই সঙ্গে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান ও আয়-বৈষম্য হ্রাস করা। এদেশের মানুষকে কি দিতে পারলাম, দেশে মানুষ কি পেলো সেটাই বড় কথা।

উন্নয়নের গতিধারা অব্যহত রাখতে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ দ্রুতগতিতে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একটা দেশ কখনোই থেমে থাকতে পারে না। উন্নয়নের গতিধারা ধরে রাখার দায়িত্ব প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের। তাহলেই দেশের মানুষের কল্যাণ হবে।

কোন কাজে যে পরিমাণ বাজেট দেওয়া হয় সে পরিমাণ ফলাফলও যেন আসে সেদিকে নজর দিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।

অগ্রাধিকার প্রকল্প চিহ্নিত করে তা দ্রুত শেষ করে নতুন প্রকল্প নেওয়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে মন্ত্রণালয়গুলোকে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করতে বলেন তিনি।

বাংলাদেশ নিম্নমধ্য আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু পরিকল্পনাভিত্তিক কাজ করার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা নিম্নমধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। মাত্র সাত বছরে আমাদের মাথাপিছু জাতীয় আয় প্রায় আড়াই গুণ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। মাথাপিছু আয় ২০০৫-০৬ সালের ৫৪৩ ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ১ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলার হয়েছে। এর আগে মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ করতে সময় লেগেছিল ২০ বছর।
    
তিনি বলেন, মোট জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি) ১০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে বাংলাদেশের সময় লেগেছিল ৩৮ বছর। এ অর্থবছরে জিডিপি ২০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। এ ধরনের সাফল্যের কারণে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
    
এমন অভাবনীয় সাফল্য সত্ত্বেও আমাদের নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকার সুযোগ নেই। রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়ন এবং ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে আমাদের যেতে হবে আরও অনেক দূর।

উন্নয়নের গতিকে আরও ত্বরান্বিত করার আহবান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৫
এমইউএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।