ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘যানজট নিরসনে একসঙ্গে কাজ করতে চাই’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৫
‘যানজট নিরসনে একসঙ্গে কাজ করতে চাই’ সাঈদ খোকন

ঢাকা: যানজট নিরসনের দায়িত্ব ট্রাফিক বিভাগের বলে মন্তব্য করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, তবু জনগণ যেহেতু আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, আমাদের কাছ থেকে তারা অনেক কিছু আশা করেন। এক্ষেত্রে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই।



রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে আয়োজিত গোলটেবিল সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

‘নগর ঢাকায় যানজট: উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক সভাটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ, বাংলাদেশ প্ল্যানার্স ইনস্টিটিউট এ সভার সহযোগী আয়োজক।

গোলটেবিল সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মো. মশিউর রহমান রাঙ্গা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাঈদ খোকন বলেন, ঢাকার সবচেয়ে বড় দুঃখ ও বড় সমস্যা দু’টি- যানজট ও জলজট। আমাকে আলাদিনের প্রদীপ দেওয়া হলে এসব সমস্যার সমাধান চাইতাম।

দক্ষিণের চেয়ে উত্তরে যানজট বেশি বলে উল্লেখ করেন খোকন। তিনি বলেন, সারা ঢাকাতেই যে সমান যানজট, তা নয়। যানজটকে একটি বা দু’টি রাস্তা ধরে নিয়ে যদি
বলি, এ রাস্তাগুলোর জট কমাবো। তাহলে ফলাফল অপেক্ষাকৃত ভালো আসবে।

একবারে সারা ঢাকাকে নিয়ে পরিকল্পনা না করে নির্দিষ্টভাবে এগোলে ভালো হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

যেকোনো একটি রাস্তা কোনো কারণে বন্ধ থাকলে বিকল্প রাস্তা কী হবে- সেটি নিয়ে কাজ করতে হবে বলেও মনে করেন এ মেয়র।

তেহরান ও বেইজিংয়ের মতো একেক দিন একেক নম্বর সারির গাড়ি চালানোর পরীক্ষামূলক উদ্যোগের প্রস্তাব দেন তিনি।

এছাড়া এক গাড়িতে এক যাত্রী না বহন করে একাধিক যাত্রী বহনের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কি-না- তাও ভেবে দেখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি পরামর্শ দেন তিনি।

আলোচনায় তথ্য ও ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন বুয়েটের অধ্যাপক শামসুল হক, অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন ও স্থপতি তানভীর নেওয়াজ। সরকারের বিভিন্ন কার্যনির্বাহী ও বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান, বিভিন্ন স্টেক-হোল্ডার, অন্যান্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষক, সুশীল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) খন্দকার গোলাম ফারুক সভায় দীর্ঘমেয়াদী ১৩টি সুপারিশ উপস্থাপন করেন।

এর মধ্যে পরিকল্পিতভাবে রাস্তার সম্প্রসারণ ও নতুন রাস্তা তৈরি করে রাস্তার ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো, গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়ানো ও এসবের রুট কমিয়ে পরিকল্পিত রুট পারমিট দেওয়া, কানেক্টিং সড়ক বাড়ানো এবং বড় বড় হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রধান প্রধান অফিস-আদালত রাজধানী থেকে বিকেন্দ্রিকরণ করা উল্লেখযোগ্য।

এ আলোচনায় যানজট সমস্যার স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের প্রস্তাবনা দেন আলোচকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৫
এসকেএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।