ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত হওয়ায় মন্ত্রিসভায় অভিনন্দন প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
এছাড়া দুই বিচাপতি প্রথমবারের মতো নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত স্থায়ী সালিশি আদালতের (পার্মানেন্ট কোর্ট অব আর্বিট্রেশন-পিসিএ) সদস্য হওয়ায় তাদের অভিনন্দন জানানো হয়।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের সুদূর প্রসারি পদক্ষেপ গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী ও দুই বিচারপতিকে অভিনন্দন জানান।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভুইঞা সাংবাদিকদের বলেন, জাতিসংঘের এ পুরস্কার প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ও সফল নেতৃত্বেরই ফলশ্রুতি। তার সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ এবং যথাযথ কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ পরিবর্তন মোকাবিলায় অসাধারণ সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
মন্ত্রিসভা লক্ষ্য করেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ নিজস্ব সম্পদ দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে। এতে প্রধানমন্ত্রীর প্রজ্ঞার পরিচয় পাওয়া যায়। নিজস্ব সম্পদ দিয়ে বাংলাদেশ যে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে, তা অন্য দেশের জন্যও অনুসরণীয়।
নেদারল্যান্ডসের স্থায়ী সালিশি আদালতে দুই বিচারপতি সদস্য নিযুক্ত হওয়ায় মন্ত্রিসভা অভিনন্দন জানিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশের ক্রেডিবিলিটি এবং রিপোর্টেশনের একটি প্রতিফলন এটি।
সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. তাফাজ্জাল ইসলাম ও বিচারপতি মো. আওলাদ আলী পিসিএ’র সদস্য হয়েছেন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে সুনাম এবং বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেছে, তার ফলেই সদস্য নির্বাচিত হতে পেরেছেন। মন্ত্রিসভা দুই বিচারপতিকে অভিনন্দন জানিয়েছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকেও অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৫
এমআইএইচ/আইএ