ঢাকা: সরকারিভাবে ধান, গমসহ খাদ্যশস্য সংগ্রহের সময় কৃষকেরা যাতে ন্যায্যমূল্য পায় তা নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। একই সঙ্গে খাদ্যশস্য সংগ্রহে যেন কোনো অনিয়ম না হয় সে দিকেও সজাগ থাকার তাগিদ দেওয়া হয়।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ‘সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটি’র ১৭তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি কাজী কেরামত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটি সদস্য আলহাজ অ্যাডভোকেট রহমত আলী, মো. শহীদুজ্জামান সরকার, মো. আব্দুল কুদ্দুস, এ কে এম শাহজাহান কামাল ও মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
বৈঠকে জানানো হয়, সরকারিভাবে ধান, গম ও খাদ্যশস্য সংগ্রহে বরাবরই অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। আগামীতে যেন কোনো অনিয়মের অভিযোগ না আসে সেদিকে সংশ্লিষ্টদের সজাগ দৃষ্টি রাখার কথা বলা হয়েছে।
খাদ্যশস্য সংগ্রহ ও আমদানির ক্ষেত্রে সরকারের ভাবমূর্তি যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য মধ্যস্বত্বভোগী এবং অসাধু ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বৈঠকে বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার অনুযায়ী দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় বাস্তবায়নাধীন পাঁচটি প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
প্রকল্পগুলো হলো- একলাখ পাঁচ হাজার মেট্রিকটন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন নতুন খাদ্য গুদাম নির্মাণ, কনস্ট্রাকশন অব মাল্টিস্টোরেড ওয়্যারহাউজ অ্যাট সান্তাহার সাইলো, বগুড়া, পোস্তাগোলা সরকারি আধুনিক ময়দা মিল, কনস্ট্রাকশন অব কংক্রিট গ্রেইন সাইলো অ্যাট মংলা পোর্ট ও ইনস্টিটিউশনালাইজেশন অব ফুড সেফটি ইন বাংলাদেশ ফর সেফার ফুড প্রকল্প।
প্রকল্প ব্যয় ঠিক রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজ সমাপ্ত করার জন্য প্রকল্পের সব অঙ্গ একসঙ্গে নিয়ে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে প্রকল্প অনুমোদন নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া ৯ম জাতীয় সংসদের প্রথম থেকে শেষ অধিবেশন পর্যন্ত এবং ১০ম জাতীয় সংসদে সম্প্রতি সমাপ্ত অধিবেশন পর্যন্ত সময়ে সংসদের ফ্লোরে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি নিয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠকে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, খাদ্য অধিদপ্তরের ডিজিসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৫
এসএম/এএ