পার্বতীপুর (দিনাজপুর): প্রতিবারের মত এবারও পবিত্র ঈদুল আজহায় ঘরমুখো মানুষের বাড়ি যাওয়া ও ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরে আসার সুবিধার্থে ঢাকা-পার্বতীপুর এবং ঢাকা-খুলনা রুটে ২ জোড়া বিশেষ (ঈদ স্পেশাল) ট্রেন সার্ভিস চলাচল শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা থেকে ট্রেন দু’টি চলাচল শুরু করে।
পার্বতীপুর স্টেশন মাস্টার জিয়াউল হক বাংলানিউজকে জানান, নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট দেরিতে সকাল ৭টার দিকে পার্বতীপুর রেল স্টেশন থেকে ১০টি কোচ নিয়ে ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। ট্রেনটিতে ১ম ও শোভন শ্রেণির ৭১৮টি আসন রয়েছে।
ঢাকা-পার্বতীপুর রুটে চলাচলকারী ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন বিকেল ৫.২০ মিনিটে ছেড়ে পার্বতীপুর এসে পৌঁছাবে রাত ৩টায়।
পৌনে ৪ ঘণ্টা বিরতি দিয়ে পার্বতীপুর রেল স্টেশন থেকে সকাল পৌনে ৭টায় ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছাবে বিকেল ৩.৫০ মিনিটে।
ঢাকা-পার্বতীপুর রূটে চলাচলকারী ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, মৌচাক, মির্জাপুর, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব ও পশ্চিম পাড়, উল্লাপাড়া, বড়াইব্রীজ, চাটমোহর, ঈশ্বরদী বাইপাস, নাটোর, মাধনগর, আহসানগঞ্জ, সান্তাহার, আক্কেলপুর, জয়পুরহাট, পাঁচবিবি, বিরামপুর এবং ফুলবাড়ী স্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে।
অপরদিকে, সমসংখ্যক কোচ নিয়ে ঢাকা-খুলনা রুটে চলাচলকারী ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন রাত ৯.২৫ মিনিটে ছেড়ে খুলনায় পৌঁছাবে সকাল ৭টায়।
সাড়ে ৩ ঘণ্টা বিরতি দিয়ে খুলনা থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ৮.২০ মিনিটে। ট্রেনটিতে ১ম, শোভন চেয়ার ও শোভন শ্রেণির ৭৮১টি আসন রয়েছে।
ট্রেনটি বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, মৌচাক, মির্জাপুর, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব ও পশ্চিম পাড়, উল্লাপাড়া, বড়াইব্রীজ, চাটমোহর, ঈশ্বরদী, ভেড়ামারা, পোড়াদহ, আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা, দর্শনা, কোটচাঁদপুর, যশোহর এবং নোয়াপাড়া স্টেশনে থামবে।
রেলওয়ের পশ্চিম জোনের পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা শওকত জামিল বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৫
আরএ