ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

শিশু সামিউল হত্যা

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ফেরত আনা হচ্ছে কামরুলকে

জেসমিন পাপড়ি, ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৫
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ফেরত আনা হচ্ছে কামরুলকে ফাইল ফটো

ঢাকা: সব ধরনের প্রক্রিয়া শেষ হলেও হজ চলাকালীন ছুটির কারণে সৌদি আরব থেকে ফেরত আনা যাচ্ছে না সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে।

দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর সৌদিতে তাকে ধরিয়ে দেন প্রবাসীরা।



তবে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বলেছেন, ছুটি শেষে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই তাকে (কামরুল) দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে।

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘আসামি কামরুলকে দেশে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে যত ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয় তার সবই করা হয়েছে। কিন্তু সৌদি আরবে এখন হজের ছুটি চলছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ছুটি শেষ হবে। এরপরই তাকে ফেরত পাঠানোর বাকি প্রক্রিয়া শুরু হবে। ’

এদিকে মঙ্গলবার  (২২ সেপ্টেম্বর) রাজন  হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া  মামলায়  কামরুলসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আগামী ১ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের প্রথম দিন ধার্য করেছেন সিলেটের একটি আদালত।

কামরুল ছাড়াও মামলার বাকি আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার শেখপাড়ার বাসিন্দা ও কামরুলের ভাই মুহিত আলম, আলী হায়দার ও শামীম আহমদ, পাভেল আহমদ, ময়না চৌকিদার, রুহুল আমিন, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল, দুলাল আহমদ, নুর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আছমত উল্লাহ এবং আয়াজ আলী।

এরমধ্যে পলাতক রয়েছেন কামরুল, শামীম এবং পাভেল। বাকিদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গত ২৪ আগস্ট এই মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের সম্পত্তি জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

তিন আসামির মালামাল জব্দ করে আদালতকে অবহিত করে জালালাবাদ থানা পুলিশ। পরে আসামিদের ধরতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন আদালত।
৭ সেপ্টেম্বর মামলাটি বিচারের জন্য মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়।

গত ৮ জুলাই চুরির মিথ্যা অভিযোগ তুলে নির্যাতন করে সিলেটের জালালাবাদ থানা এলাকার বাদেয়ালি গ্রামের মাইক্রোবাস চালক শেখ মো. আজিজুর রহমানের ছেলে সবজি বিক্রেতা শিশু সামিউলকে হত্যা করা হয়।

নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডের কাছে শেখপাড়ায়। পরে লাশ গুম করার চেষ্টা করেন তারা।

সামিউলকে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করেছিলেন নির্যাতনকারীরাই। পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েও দেওয়া হয়।

ফেসবুকসহ অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দেশে-বিদেশে।

এরপর একে একে স্থানীয় জনতা ধরিয়ে দেন সামিউল হত্যায় জড়িতদের। পালিয়ে সৌদি আরব গিয়েও প্রবাসীদের হাতে ধরা পড়েন ঘটনার মূল হোতা কামরুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৫
জেপি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।