বগুড়া: সাধ্যানুযায়ী কোরবানির পশু কেনা হয়েছে। কিন্তু পশু জবাইয়ের ছুরি কেনা হয়নি।
বগুড়া শহরের রাজাবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা ঈদ কেন্দ্রিক মৌসুমী দা, ছুরি, চাকু ও বটির দোকানগুলোতে সুলতান মাহমুদের মতো অনেককেই এসব কিনতে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। তবে, শেষ মুহূর্তে এসব কেনাকাটা করতে এসে তাদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল। দামদরে বনিবনা হচ্ছিল না।
অথচ হাতে সময় কম। মাত্র দুইদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। তবে, শেষ বেলায় এসে দোকানিরাও বেশি দাম চেয়ে ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না। সামান্য লাভেই তারা মাল বিক্রিতে প্রস্তুত। সবমিলে জমে উঠেছে পশুর মাংস কাটার অস্ত্রের বাজার। যদিও বৃষ্টি অনেকটাই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) দা, ছুরি, চাকু, বটির একাধিক দোকান ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা হলে এসব তথ্য ওঠে আসে।
![](files/September2015/September23/Bogra_pic_13_992462887.jpg)
মুক্তি সেখ, মুকুল মণ্ডল, হাসান আলী, ইমদাদ, আবু জাফরসহ একাধিক বিক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, বিগত বছরের চেয়ে এবার বেচাকেনা অনেক কম। ঈদ আসন্ন হওয়ায় ক্রেতারা কোরবানির পশুর মাংস কাটার জন্য লোহার তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী কিনতে আসছেন। তবে তারা ব্যাপক দামদর করছেন।
এতে করে তাদের বেচাবিক্রি করতে চরম সমস্যা হচ্ছে। তেমনি ক্রেতারাও বিরক্তি হচ্ছেন। কিন্তু কিছুই করার নেই। কারণ লোকসান দিয়ে তো ব্যবসা হয় না। তবে তাদের অতিরিক্ত লাভের প্রয়োজন নেই। সীমিত লাভেই তারা এসব বিক্রি করে দিচ্ছেন।
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, তারা মূলত মৌসুমী ব্যবসায়ী। প্রত্যেক ঈদে তারা এই ব্যবসা করে থাকেন। তবে এবারের মতো এত বাজে ব্যবসা আর কোনো বছর হয়নি। এর মধ্যে আবার বৃষ্টির বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। এখন তারা শেষ দিনের অপেক্ষার প্রহর গুণছেন। কেননা এই দিনটিতে তাদের বেচাকেনা অনেক বেশি হয় বলে তারা জানান।
মুক্তি সেখ ও মুকুল মণ্ডল জানান, প্রতিটি বড় মাপের ছুরি ৩০০-৬০০টাকা, চামড়া ছাড়ানোর চাকু ১৫-৪০টাকা, বিভিন্ন মাপের দা ২০০-৫০০টাকা, পাগলু দা ২০০টাকা, বটি ১০০-৪০০টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
![](files/September2015/September23/Bogra_pic_4_776550604.jpg)
জোবায়ের হোসেন, আশরাফুল ইসলাম, জহুরুল ইসলাম, মীর আফতাব, আবু সাঈদ, সোহরাব হোসেনসহ একাধিক ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, ঈদের এখনও দুইদিন বাকি আছে। তাই বিক্রেতারা সুযোগ নিচ্ছেন। স্বল্প লাভে তারা মাল বিক্রি করতে চাচ্ছেন না। এ জন্য তাদের দামাদামি করতে হচ্ছে। এতে করে অনেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছেন। আবার দামে বনিবনা না হওয়ায় অনেকে ফিরে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫
পিসি