রংপুর থেকে: রাত ১১টায় বাসের টিকিট, ছেড়েছে সোয়া ১টায়। শুরু থেকেই যানজট, সাভার জিরানী বাজার এলাকায় বাসের স্টার্ট বন্ধ ছিলো চার ঘণ্টা।
তবে যাত্রীদের আক্ষেপ এভাবে চলতে থাকলে ২৪ ঘণ্টায়ও বাড়ি পৌঁছতে পারব কি না- সন্দেহ।
রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে শ্যামলী পরিবহনের যাত্রী রংপুরগামী খোরশেদ আলম, মাইদুল ইসলাম, মশিউর রহমানসহ একাধিক যাত্রীর এমন ক্ষোভ।
সড়কে দুর্ঘটনার কারণে যান চলাচল থমকে থাকায় এসব যাত্রীর মত হাজার হাজার ঘরমুখো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। বিশেষ করে শিশু, নারীদের অবস্থা মারাত্মক।
যাত্রীরা জানান, কল্যাণপুর, গাবতলী থেকে নির্ধারিত সময়ে বাস না পেয়ে সেখানেই দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। এছাড়া পথের ভোগান্তি আরও কষ্টদায়ক। পথে ফিটনেসহীন গাড়ি চলাচল এবং পশুবাহী ট্রাকের দৌরাত্মে প্রচণ্ড যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
ঈদে যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সরকারের স্থাপিত কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, রাত ৫টা ৮ মিনিটে টাঙ্গাইল-মির্জাপুর এলাকায় একটি বাসের সঙ্গে পশুবাহী ট্রাকের সংঘর্ষের খবর পান তারা। এ কারণে যান চলাচল বন্ধ ছিল। তবে এখন উত্তরের পথ চলছে, গতি কিছুটা শ্লথ।
এছাড়া চট্টগ্রাম রুটে কাঁচপুর এলাকায় আরেকটি দুর্ঘটনার কারণে ওই পথেও কিছুটা যাত্রা বিঘ্ন ঘটে।
যান চলাচল বিঘ্নের কারণে দুই পথেই যাত্রীদের মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
দায়িত্বরত সড়ক বিভাগের উপসচিব সুলতানা ইয়াসমিন সকালে বাংলানিউজকে বলেন, উত্তরের যানজট নিরসনে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার প্রশাসন কাজ শুরু করে। এখন যান চলাচল করছে। এছাড়া কাঁচপুর এলাকাতেও সড়ক সচল।
ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে তারা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
বাংলঅদেশ সময়: ১০১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৫/আপডেট ১১০৬ ঘণ্টা
এমআইএইচ/বিএস