ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

সরকারের অনুরোধ রাখা হয়নি

রাজধানীতে যত্রতত্র পশু জবাই

এস এম আববাস, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৫
রাজধানীতে যত্রতত্র পশু জবাই ছবি: সোহাগ -বাংলানিউজেটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: যত্রতত্র না করে নির্ধারিত জায়গায় পশু কোরবানি করার জন্য সরকার অনুরোধ জানালেও তা রাখা হয়নি। পবিত্র ঈদ-উল আজহার দিন শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে যে যার মতো কোরবানি করছেন রাস্তায়।



রাজধানীতে ৪৯৩টি পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করা থাকলেও গলি থেকে রাজপথ পর্যন্ত কোথাও বাদ যায়নি পশু জবাই। পশু জবাইয়ের এসব নির্দিষ্ট স্থানের প্রতি আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়নি বেশিরভাগ কোরবানিদাতাদের।
মোহাম্মদপুর থেকে বারিধারা সবখানেই একই চিত্র দেখা গেছে।

সকাল সাড়ে ৮টায় মোহাম্মদপুর মোহাম্মদী হাউজিংয়ের বিভিন্ন রাস্তায় কোরবানির পশু জবাই করতে দেখা গেছে। মোহাম্মদপুরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা নূরজাহান রোড, শাহজাহান রোড, আওরঙ্গজেব রোডে কোরবানি করা হয়। একইভাবে বনানীর প্রধান রাস্তা ও ফুটপাথে কোরবানির পশু জবাই করা হয়েছে।  
 
কুড়িল বারিধারা এলাকার প্রধান সড়কেও সকালে ঈদের নামাজের পর পশু কোরবানি করা হয়।

অন্যদিকে সব ধরনের ব্যবস্থা থাকলেও পশু জবাইয়ের নির্ধারিত স্থানে সকাল থেকে খুব কম সংখ্যক লোক পশু কোরবানি করেছেন।
 
গত ২৭ আগস্ট রাজধানীসহ দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় সরকার নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির নির্দেশনা দিয়ে জনসাধারণকে অনুরোধ জানানো হয়। সরকারি এ নির্দেশনা মানতে আনুষ্ঠানিক সংবাদ ব্রিফিংও করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আব্দুল মালেক। পশু কোরবানির এ বিষয়টি তদারকি করতে সিটি করপোরেশনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সচিব।
 
রাজধানীতে মোট ৪৯৩টি স্থানে পশু জবাইয়ের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। রেললাইন ও লোকজনের চলাচলের রাস্তায় পশু কোরবানি না দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
 
সচিব ওইদিন জানিয়েছিলেন, প্রথমবার অনুরোধ জানানো হয়েছে। পরিবেশগত কারণে পরবর্তীতে সরকারিভাবে নির্দেশ দেওয়া হবে।
 
সকালে মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদী হাউজিংয়ে ৭ ও ৮ নম্বর রোডে পশু কোরবানির বিষয়ে জানতে চাইলে অনেকে জানান, সরকারের নির্ধারিত স্থানে গিয়ে কোরবানির পর মাংস আনা কষ্টকর হবে। তাই তারা যাননি।
 
হাউজিংয়ের ৮ নম্বর রোডের বাসিন্দা একরাম বলেন, রাস্তাঘাট নোংরা হয়ে গেছে। এরপর দুর্গন্ধ ছড়াবে। সরকারের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করতে বাধ্য করা উচিত।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৫
এসএমএ/এএসআর

** জনসচেতনতা চাইছে দুই সিটি কর্পোরেশন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।