ঢাকা: ঈদে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে সিনেমাকেই বেছে নেন চলচ্চিত্রপ্রেমীরা। ঈদ উদযাপনের কর্মসূচিতে থাকে সিনেমার জন্য আলাদা বাজেট ও সময়।
অতীতে সিনেমা হলগুলোতে দর্শকের যে ভিড় দেখা গেছে, চলতি ঈদে তার বিপরীত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দর্শক খরায় ভুগছে সিনেমা হলগুলো।
এছাড়া ঈদকে সামনে রেখে হলে নতুন সিনেমা মুক্তি, হলের সাজ সজ্জা বাড়ানোসহ নানা আয়োজন থাকতো- সেটির প্রচলনও কমে যাচ্ছে।
ঈদুল আজহার প্রথম দিনে রাজধানীর কয়েকটি সিনেমা হল ঘুরে দর্শক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে উঠে আসে এসব চিত্র।
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে আনন্দ ও ছন্দা সিনেমা হল প্রাঙ্গণে ঢু মারতেই দেখা গেলো থমথমে পরিবেশ। হলে যে কোলাহল থাকে তার লেশ মাত্র নেই।
হল ম্যানেজার মো. শামসুল আলম জানান, আগের মতো ঈদে সিনেমা হলে দর্শকেরা আসেন না। একসময় তো দুই ঈদে দর্শকের চাপে হিমশিম খেতে হতো। কিন্তু বর্তমানে বদলে গেছে চিত্র।
তবে ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রথম শো-তে কম দর্শক হলেও, পরবর্তী শোগুলোতে দর্শকের সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করছেন হল সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, অভিজাত সিনেমা হলগুলোতে বেশ দর্শকের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষদের।
আগারগাঁও থেকে কয়েকজন বন্ধু মিলে এসেছেন ‘দ্য স্টোরি অব সামারা’ সিনেমাটি দেখতে।
তাদের মধ্য থেকে হাসিবুর রহমান জানান, বন্ধুদের কাছ থেকে সিনেমাটির গল্প শোনার পর দেখতে এসেছেন। ঈদ এলেই তারা বন্ধুরা মিলে হলে গিয়ে সিনেমা দেখেন।
নিউমার্কেট এলাকায় বলাকা সিনেমা হলের পোস্টার দেখছিলেন রাজিব আহম্মেদ। একসময় তিনিও ঈদ এলেই হলের দিকে ছুটতেন। কিন্তু এখন আর ঈদে সিনেমা দেখতে যাওয়া হয় না তার।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হলের পরিবেশ, সাউন্ড সিস্টেম, সিনেমা (ছবি) কোনোকিছুরই তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। দর্শকের চাহিদার কথা না ভেবে সিনেমা তৈরি হচ্ছে।
টাকা খরচের পাশাপাশি দুই-আড়াই ঘণ্টা সময় ব্যয় করে যদি বিনোদনের খোরাকই না মেটানো যায়, তাহলে কেন হলে যাবো, প্রশ্ন রাখেন তিনি।
রাজধানীর বনানী এলাকায় সৈনিক সিনেমা হলের চারপাশে দর্শকের মোটামুটি ভিড় দেখা গেলো।
দর্শকদের দাবি, ভালো মানের সিনেমা আর হলের পরিবেশ উন্নত হলে অবশ্যই তারা হলে সিনেমা দেখতে যাবেন। নইলে একসময় হলে গিয়ে সিনেমা দেখাই বন্ধ হয়ে যাবে।
এবার ঈদে মুক্তি পেয়েছে- রাজা বাবু, আশিকি, প্রার্থনা ও গাড়িওয়ালা।
বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৫
একে/এসএস