ঢাকা: শরতের রাতের আকাশে সুপারমুনের আলোকছটা আর নিচে শুভ্র কাশফুলে বাতাসের দোল খাওয়া। মোহনীয় এক সৌন্দর্যে পুলকিত গোটা পরিবেশ।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতটি এমনই এক স্মরণীয় রাত।
১৯৮২ সালের পর এক বিরল দৃশ্যের দেখা মিলেছে এ রাতে। স্বাভাবিকের চেয়ে বড় এক পূর্ণ চাঁদ রক্তাক্ত আভায় ধরা দিয়েছে পৃথিবীবাসীর কাছে। যাকে বলা হয় ‘সুপারমুন’।
![](files/sup1_842378839.jpg)
এমনিতেই শরৎকালে মাঠে-মাঠে সবুজ ধানের সোনালী আলোর ঝলকানিতে মন নেচে ওঠে। উৎসবের নেশা আর নবান্নের প্রতীক্ষায় থাকেন কৃষকরা। ঠিক এসময়েই দেখা দিল ‘সুপারমুন’।
এমন দৃশ্য আবার দেখতে আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত। প্রকৃতিপ্রেমীরা অবশ্য দেখতে ভুল করেননি এ বিরল চাঁদ। রোববার সন্ধ্যার পর রাজধানীর অনেক জায়গাতেই দর্শনার্থীরা ভিড় করে ‘সুপারমুন’ দেখেন।
![](files/sup2_391940714.jpg)
রাজধানীর আফতাবনগর গেলে দেখা মেলে শরতের প্রধান আকর্ষণ কাশফুলের। কাশফুল দেখলে প্রশান্ত হয় প্রাণ, যেন সবুজের সমারোহে মুক্তি মেলে শহুরে কোলাহল থেকে। তাইতো অনেকে ইট-পাথরের ব্যস্ত শহরের নাগরিক জীবনে শান্তির পরশ পেতে ঘুরতে আসেন কাশফুলে ভরা আফতাবনগর আবাসিক এলাকায়।
রামপুরা ব্রিজের উত্তর পাশ দিয়ে জহুরুল ইসলাম সিটির ভেতরের রাস্তা দিয়ে কয়েক কিলোমিটার গেলেই বিস্তীর্ণ এ কাশবনের দেখা মিলবে। হাউজিংয়ের জায়গাটাই মূলত পরিণত হয়েছে কাশফুলের অরণ্যে। সঙ্গে ছোট-বড় জলাশয়। সব মিলিয়ে এক সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ।
![](files/sup3_250829311.jpg)
বাড্ডা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, কোলাহলপূর্ণ রাজধানীতে এটি একটি সুন্দর জায়গা। প্রতিদিন বিকেলে অনেক লোক এখানে ঘুরতে আসেন। কিন্তু জায়গাটি কোলাহল থেকে অনেক দূরে হওয়ায় সন্ধ্যার পর কাউকে থাকতে দেয়া হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৫
এজেডকে/এসইউ