ঢাকা, রবিবার, ২৬ মাঘ ১৪৩১, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মানবতাবিরোধী অপরাধ

যশোরের পলাতক ৬ জনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫
যশোরের পলাতক ৬ জনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

ঢাকা: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক যশোরের ৬ জনকে আত্মসমর্পণ করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এ মামলায় জাতীয় পার্টির নেতা যশোর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাখাওয়াত হোসেনসহ ৯ জন আসামি।

গত ৮ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। মোট ১২ আসামির মধ্যে বাকি তিনজনের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাদেরকে অব্যাহতি দিয়েছেন।  

সাখাওয়াত হোসেন ছাড়া অন্য আটজন আসামি হলেন- মো. বিল্লাল হোসেন, মো. ইব্রাহিম হোসেন, শেখ মোহাম্মদ মুজিবর রহমান, মো. আব্দুল আজিজ সরদার, মো. আজিজ সরদার, কাজী ওয়াহেদুল ইসলাম, মো. লুৎফর মোড়ল এবং মো. আব্দুল খালেক মোড়ল।
 
তাদের মধ্যে সাখাওয়াত হোসেনসহ তিনজন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। বাকি দু’জন হচ্ছেন- মো. বিল্লাল হোসেন ও মো. লুৎফর মোড়ল।

অব্যাহতি পেয়েছেন মো. আকরাম হোসেন, অজিহার মোড়ল ওরফে ওজিয়ার মোড়ল ও মশিয়ার রহমান।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পলাতক ৬ জনকে আত্মসমর্পণের জন্য সাতদিনের মধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।

রাষ্ট্রপক্ষে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

গত ২৬ জুলাই ১২ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম। এতে হত্যা-গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।

গত ১৬ জুন সাখাওয়াতসহ যশোরের কেশবপুরের ১২ জনের বিরুদ্ধে এ মামলার তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে দাখিল করেন তদন্ত সংস্থা।

সাখাওয়াতসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০৯ সালে যশোরে মামলা দায়ের করা হয়। প্রসিকিউশনের আবেদনে গত বছরের ২৬ নভেম্বর সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে ২৯ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরখান থেকে সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

২০১২ সালের ১ এপ্রিল থেকে এ মামলায় তদন্ত শুরু করে গত ১৩ জুন শেষ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক খান।

সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে একই অপরাধে আরও ১১ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে এ মামলায় মোট আসামি হন ১২ জন। প্রসিকিউশনের আবেদনে গত ১২ মে বাকি ১১ জনের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর ওইদিন রাতেই তাদের মধ্যে তিনজন ও গত ২৭ সেপ্টেম্বর একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে বর্তমান আসামি ৯ জন হওয়ায় গ্রেফতারকৃত দু’জন অব্যাহতি ও মুক্তি পেয়েছেন।

মুক্তিযোদ্ধাসহ ৩২ জনকে এ মামলার সাক্ষী করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫
এমএইচপি/এএসআর

** জামালপুরের ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।