ঢাকা, রবিবার, ২৬ মাঘ ১৪৩১, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মিনা ট্র্যাজেডি

বাবা বেঁচে আছেন কিনা তাও জানিনা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫
বাবা বেঁচে আছেন কিনা তাও জানিনা ওমর আলী

কিশোরগঞ্জ: বাবা পৃথিবীতে আছেন, নাকি মারা গেছেন তাও খোঁজ পাচ্ছি না। সৌদি আরবে অবস্থানরত আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের কাছ থেকে খবর পেয়েছি বাবার সঙ্গে যারা ছিল (দু’জন ছাড়া) সবাই মারা গেছে।



কান্নাজড়িত কণ্ঠে এ কথাগুলো বাংলানিউজকে বলছিলেন সৌদি আরবে হজ পালন করতে গিয়ে মিনায় পদদলিত হয়ে নিখোঁজ হওয়া কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের ওমর আলীর ছেলে আব্বাস আলী।

তিনি জানান, আসাদুল্লাহর পারিবারের মাধ্যমে জানাতে পারলাম মিনায় ‘শয়তান স্তম্ভে’ পাথর ছোড়ার সময় বাবাসহ তাদের পরিবারের আটজন নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ চারজনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। কিন্তু বাবার (ওমর আলী) ও আসাদুল্লাহর স্ত্রী সায়েরা বেগম (৬৫) ওনাদের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। আর আসাদুল্লাহর চাচাতো ভাই সায়েব আলী ও চাচী আলিমুন্নেছা প্রাণে বেঁচে যান।

আব্বাস আলী জানান, আজকেও (বুধবার) এজেন্সির মালিক হাজী শামসুল হকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি সৌদি আরবেই আছেন। বাবার খোঁজখবর পাচ্ছেন না।

নিখোঁজরা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে ওমর আলী (৭০) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের বালিখলা গ্রামের আসাদুল্লাহর স্ত্রী সায়েরা বেগম (৬৫)।

নিখোঁজের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওমর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের বালিখলা গ্রামের এক আত্মীয়ের (আসাদুল্লাহর) পরিবারের সঙ্গে হজ পালন করতে গত ৩০ আগস্ট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওয়ানা হন।

ঢাকার তোপখানা রোডের ‘হাজরে আসওয়াত হজ অ্যান্ড ট্রাভেল ট্যুরস’ (লাইসেন্স নং-৮০৭) এজেন্সির মাধ্যমে আসাদুল্লাহর পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনসহ মোট ৮জন হজ পালন করতে সৌদি আরব যান।

মিনায় ‘শয়তান স্তম্ভে’ পাথর ছোড়ার ঘটনায় পদদলিত হওয়ার সময় তারা আটজন একই সঙ্গে ছিলেন। এ ঘটনার সময় আসাদুল্লাহর চাচাতো ভাই সায়েব আলী ও চাচি আলিমুন্নেছা কোনো রকমে প্রাণে বেঁচে যান।

মিনায় ট্র্যাজেডির ঘটনার বুধবার পর্যন্ত খবর পাওয়া যায়, আসাদুল্লাহসহ চারজনের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। কিন্তু ওমর আলী (৭০) ও সায়েরা বেগম (৬৫) নিখোঁজ রয়েছেন।  

অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মোল্লা বাংলানিউজকে জানান, সৌদি আরবের মিনা দুর্ঘটনায় অষ্টগ্রাম উপজেলার কোনো ব্যক্তি নিখোঁজের খবর আমরা এখনো পাইনি। তবে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।