ঢাকা, রবিবার, ২৬ মাঘ ১৪৩১, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বগুড়ায় উন্নয়ন মেলা

শিখতে-জানতে স্টলে স্টলে তরুণ-তরুণীরা

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫
শিখতে-জানতে স্টলে স্টলে তরুণ-তরুণীরা ছবি: আরিফ জাহান/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বগুড়া: বগুড়া জিলা স্কুল মাঠে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলার শেষ দিন বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর)। সন্ধ্যায় সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হবে এ মেলা।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ মেলায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের তথ্য-উপাত্ত জানতে নানা শ্রেণি-পেশার দর্শনার্থীদের বেশ ভিড় দেখা যায়। এদের মধ্যে এগিয়ে ছিলেন তরুণ-তরুণীরা।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নানামুখী উন্নয়নের চিত্র জানতে স্টলে স্টলে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। তাদের প্রশ্নবানে জর্জরিত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা। ভিড় সামলেই তারা আগ্রহীদের সামনে উপস্থাপন করছেন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য-উপাত্ত। উন্নয়নের কার্যক্রম নিজেরা যেমন বলে উপস্থাপন করছেন, তেমনি অনেককে নানা ধরনের লিফলেটও বিতরণ করতে দেখা যায়।

মালিয়াত নাফিসা, শ্রাবণী আকতার সুইট, আরিফুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান আরিফ বগুড়ার একটি বেসরকারি পলেটেকনিক ইনিস্টিটিউশনে কম্পিউটার বিষয়ে পড়ছেন। সবাই প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। বুধবার তারা ঘুরতে এসেছেন উন্নয়ন মেলায়।

তারা বাংলানিউজকে বলেন, ‘শিক্ষার তো কোনো শেষ নেই। শিক্ষা গ্রহণের জন্য কোনো বয়সও লাগে না। শুধু জানার আগ্রহ থাকতে হবে। তাছাড়া শিখতেই তো পড়ছি। ’

এ শিক্ষার্থীরা বলছিলেন, ‘কেবল পাঠ্যবইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ থাকলে প্রকৃত শিক্ষা অর্জন সম্ভব নয়। প্রকৃত শিক্ষার জন্য বাস্তবমুখী শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। তবেই নিজের ও দেশের জন্য কিছু করা সম্ভব। তাই এই উন্নয়ন মেলা থেকে বাস্তব শিক্ষা নিতে এখানে এসেছি। ’

উন্নয়ন মেলায় ঘুরতে এসেছেন বগুড়া জিলা স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিফাত, দেলোয়ার ও হাসানাত। তারা বলছেন, ‘এই মেলায় এসে আমরা দেশের উন্নয়ন চিত্র সম্পর্কে জানতে পারছি। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের পরিসংখ্যানও জানা যাচ্ছে। এসব পরিসংখ্যান শিক্ষা জীবনে অত্যন্ত কাজ দেবে। এমনকি চাকরি পেতে এই শিক্ষা একদিন ভীষণ উপকার দেবে। ’

ব্যাংকার তামান্না সামীহা উন্নয়ন মেলা সম্পর্কে বলছিলেন, ‘খুব ভাল একটা আয়োজন। উন্নয়ন মেলা সরকারের উন্নয়ন সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করবে। তাই প্রত্যেক বছর এ ধরনের আয়োজন প্রয়োজন। ’

প্রভাষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের মেলা আমাদের মত মানুষদের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেয়। ’ তিনিও প্রতি বছর এমন মেলা আয়োজনের দাবি জানান।  

মেলার আয়োজক জেলা প্রশাসনের স্টলে দায়িত্ব পালন করছিলেন প্রশাসকের (ডিসি) অফিস সহকারী ভুপেন্দ্র নাথ রায়। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘এই মেলায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ৪০টির মত প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এসব স্টলে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের তথ্য সম্বলিত লিফলেট রয়েছে। এছাড়া উন্নয়নের পরিসংখ্যান সম্বলিত অসংখ্য বইপুস্তক রয়েছে। ’

জেলা পুলিশ প্রশাসনের স্টলে দায়িত্বরত কনস্টেবল কৃষ্ণ কান্তি রায়, উম্মে কুলসুম, মনিকা বলেন, ‘মানুষ সহজে কীভাবে পুলিশের সেবা পাবে -এমন পরামর্শ পেতে দর্শনার্থীরা তাদের স্টলে আসেন। সেক্ষেত্রে এখান থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের হাতে পুলিশের নানামুখী সেবা ও বড় স্যারদের মোবাইল ফোন নম্বর সম্বলিত লিফলেট তুলে দেওয়া হয়। ’

সিভিল সার্জন অফিসের ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট নুরুল আলম বলেন, ‘চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রায় সব ধরনের পরামর্শ এখান থেকে দেওয়া হয়। কোথায় কোন ধরনের চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায়- সেটাও আগ্রহীদের জানিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া, এই স্টলে রক্তের গ্রুপ ও ডায়াবেটিস পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে রক্তের গ্রুপ জানার জন্য ২০ টাকা এবং ডায়াবেটিস পরীক্ষা জন্য ৩০ টাকা ফি দিতে হয়। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫
এমবিএইচ/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।