ঢাকা, রবিবার, ২৬ মাঘ ১৪৩১, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ

সোনালী ব্যাংকের চার কর্মকর্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫
সোনালী ব্যাংকের চার কর্মকর্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা

ঢাকা: সোনালী ব্যাংকের ছয় কোটি ১৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির চার কর্মকর্তাসহ মোট সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দুদকের উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।



মামলা দায়েরের পর দুদক ও থানা সূত্র  বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছে।

যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা হলেন- সোনালী ব্যাংকের মতিঝিলের স্থানীয় কার্যালয়ের রপ্তানি শাখার সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার জাকির হোসেন, একই শাখার সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার (বর্তমানে অবসরে) কাজী এনামুল হক, বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার (বর্তমানে অবসরে) মফিজুল ইসলাম চৌধুরী, একই বিভাগের সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. কামাল হোসেন, পিলুসিড টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান মো. মহসিন আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব-উল-আজম খান ও পরিচালক মো. সফিউল আমিন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সম্পূর্ণ রফতানি ব্যর্থতার কারণে পিলুসিড টেক্সটাইল নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ঋণপত্রের বিপরীতে সাত কোটি ৯১ লাখ টাকারও বেশি পরিমাণ অর্থ ডিমান্ড লোন হিসাবে স্থানান্তর করে শ্রেণিকরণ করা হয়। পরবর্তীতে আরও তিনটি ঋণপত্রের বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৭৩ লাখ টাকা ডিমান্ড লোন সৃষ্টি হয়, যা বর্তমানে ‘কু-ঋণ’ হিসেবে শ্রেণিকৃত অবস্থায় রয়েছে।

এসব দায় থাকার পরও ২০১০ সালে দুটি রফতানি ঋণপত্রের বিপরীতে ঋণ সুবিধার জন্য ব্যাংকে আবেদন করে প্রতিষ্ঠানটি। ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ রফতানি ঋণপত্রের বিপরীতে ঋণ সুবিধা দেওয়ার সুযোগ না থাকলেও ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহায়তায় ঋণপত্র খোলা হয়। ঋণপত্র খোলার পর মালামাল রফতানি হলেও রফতানির মূল্য ফেরত আসার আগেই ব্যাংকের পক্ষ থেকে ফোর্সড লোন সৃষ্টি করে ঋণপত্রের বিপরীতে পাঁচ কোটি ৪০ লাখ ৩৪ হাজার ৫২৫ টাকা সরবরাহকারীর ব্যাংকে পরিশোধ করা হয়।

এছাড়া পিএসসির দায় ৭৫ লাখ টাকাও অদ্যাবধি অসমন্বিত রয়ে যায়। এভাবে প্রতিষ্ঠানটি সব মিলিয়ে ছয় কোটি ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ৪৯৯ টাকা আত্মসাৎ করেছে, যা সুদসহ বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ছয় কোটি ৭৭ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮৬ টাকা।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, চার ব্যাংকার ও পিলুসিড টেক্সটাইলের তিন মালিক অসৎ উদ্দেশ্যে ও পরস্পরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য ওই পরিমাণ সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫
এডিএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।