ঢাকা: রাজধানীর পল্লবীতে সোনিয়া আক্তার ইতি (২০) নামে এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন। আর গাবতলীতে গাড়ির ধাক্কায় নিহত হয়েছেন সাগর (৪০) নামে আরেক ব্যক্তি।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টার মধ্যে এ দু’টি দুর্ঘটনা ঘটে। দু’টি মরদেহই উদ্ধার করে বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুস সেলিম ও দারুসসালাম থানার এসআই নাসিরউদ্দিন এ দু’টি দুর্ঘটনার খবর বাংলানিউজকে জানান।
এসআই আবদুস সেলিম জানান, ইতি পল্লবীর বেগুন টিলা বস্তির মো. হারুনের মেয়ে। তিনি সম্প্রতি স্থানীয় একটি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পাস করেন। ওই কলেজে পড়ার সময় এক ছেলের সঙ্গে তার প্রেম হয়। এরপর দু’জনের বিয়েও হয়। কিন্তু বিয়ের পর ইতি জানতে পারেন তার স্বামী আগেও এক বিয়ে করেছিলেন। এই টানাপোড়েনে দু’জনের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
ইতির বাবা মো. হারুনের বরাত দিয়ে এসআই বলেন, তালাক হলেও কয়েকদিন পর স্বামী ইতির সঙ্গে আবারও যোগাযোগ শুরু করেন। এতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন ইতি। শেষ পর্যন্ত তিনি বুধবার দুপুরে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। তৎক্ষণাৎ পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
পরে খবর পেয়ে বেলা ১টা ৩০ মিনিটে কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে ইতির মরদেহ নিয়ে আসেন এসআই আবদুস সেলিম।
অন্যদিকে এসআই নাসিরউদ্দিন বলেন, সাগর গাবতলী এলাকায় থাকতেন এবং সেখানে ভাঙড়ি কুড়িয়ে বিক্রি করতেন। আমরা মনে করছি, ভাঙড়ি কুড়ানোর সময় বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে গাবতলী আয়েশা সুপার মার্কেটের সামনে একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরে খবর পেয়ে সাগরের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকে পাঠানো হয় বলে জানান এসআই নাসিরউদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫
এজেডএস/এইচএ